কালীগঞ্জ থেকে নিখোঁজ আরিফ কুমিল্লায় গ্রেফতার

arif

প্রায় দেড় মাস ধরে নিখোঁজ যশোরের আরিফ হোসেন কুমিল্লায় গ্রেফতার হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে তাকে র‌্যাব-১ সদস্যরা গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে কুমিল্লার ব্রাক্ষণপাড়া থানায় মামলা হয়েছে। তার কাছ থেকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। বুধবার তাকে কুমিল্লার আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানো হয়।

আরিফ যশোর শহরের বারান্দী মোল্যাপাড়া বিসিএমসি কলেজ এলাকার মৃত আব্দুল আউয়ালের ছেলে। ঝিনাইদহ থেকে যশোরে ফেরার পথে কালীগঞ্জ উপজেলা থেকে গত ২৩ মার্চ অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা গাড়ি থামিয়ে আরিফ হোসেনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে পরিবারের অভিযোগ। অপহরণের ঘটনায় ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

ব্রাক্ষণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজম উদ্দিন মাহমুদ জানান, মঙ্গলবার বিকালে র‌্যাব-১ (নারায়গঞ্জ রূপগঞ্জ পূর্বাচল ক্যাম্প) সিপিসি-৩ এর পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যান) কাজী আব্দুস সালামের নেতৃত্বে কুমিল্লার ব্রাক্ষণপাড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী শশীদল ইউনিয়নের মল্লিকাদিঘি একটি দল অভিযান চালায়। এসময় শশীদল ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কুমিল্লা-বাগড়া সড়কের উপর থেকে আরিফকে গ্রেফতার করে। পরে তার কাছ থেকে একটি একনালা বন্দুক, তিনটি নাইন এমএম পিস্তল, ২৬ রাউন্ড তাজা বুলেট, ৬টি তাজা কার্তুজ, ৯টি ম্যাগজিন, ৯৩৫ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। এছাড়া একটি লাল রঙের ইয়ামাহা (ফেজার) মোটরসাইকেল জব্দ করে। এ ঘটনায় র‌্যাব-১ (নারায়গঞ্জ রূপগঞ্জ পূর্বাচল ক্যাম্প) সিপিসি-৩ এর পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যান) কাজী আব্দুস সালাম বাদী হয়ে থানায় দুটি মামলা করেন। যার একটি অস্ত্র ও অপর একটি মাদক আইনে। এছাড়া আরিফকে থানা পুলিশে সোপার্দ করা হয়।

ওসি আজম উদ্দিন মাহমুদ আরও জানান, বুধবার আরিফকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে আরিফ হোসেনের ছোট ভাই আসিফ হোসেন সানি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, গত ২৩ মার্চ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা ঝিনাইদহ থেকে যশোরে ফেরার পথে কালীগঞ্জ উপজেলার প্রাণিসম্পদ অফিসের সামনে একটি মাইক্রোবাস এসে তাদের গাড়ির পথরোধ করে। গাড়িতে থাকা অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা সানির ভাই আরিফকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পাশাপাশি সানিদের গাড়িতে থাকা লোকজনদের কাছ থেকে মূল্যবান ১০টি মোবাইল ফোনসেটও নিয়ে নেয় তারা। ওইদিনই আসিফ হোসেন সানি কালীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিয়ে বিভিন্নস্থানে অনুসন্ধান করেন। কিন্তু আরিফের কোনো খোঁজ না পাওয়ায় পরদিন ২৪ মার্চ বিকেলে পরিবারের পক্ষ থেকে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

আরিফ হোসেনের পরিবার অভিযোগ করেন, আরিফ অপহরণের ঘটনায় ওইদিনই ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিলেও ঘটনার ছয়দিন পর ২৯ মার্চ ‘নিখোঁজ’ উল্লেখ করে থানায় জিডি নথিভুক্ত হয়। জিডি নং- ১৫৩৫।