যশোরে শ্রমিকনেতা মিন্টু গাজীকে গুলির ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত বিল্লাল আটক

billal

যশোর শহরের বকচর হুশতলা এলাকায় পরিবহন শ্রমিকনেতা মিন্টু গাজীসহ দুইজনকে গুলি করে আহত করার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত বিল্লাল হোসেন এবং তার সহযোগিকে আটক করেছে পুলিশ।

বিল্লাল মণিরামপুর উপজেলার হরিহরনগর ইউনিয়নের ছোট কায়েমকোলা গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে। বর্তমানে যশোর শহরের বকচর হুশতলা চক্ষু হাসপাতালের সামনে গাড়ির বডি মিস্ত্রি গোলাম মোস্তাফার বাড়ির ভাড়টিয়া। তার সহযোগির নাম আবুল হোসেন (৪৮)। তিনি ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালি মঠবাড়ি গ্রামের মৃত জিয়াদ আলীর ছেলে।

কোতয়ালি থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, পুলিশ সোর্স মোতাবেক সংবাদ পাই যে বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে একদল সন্ত্রাসী শহরতলীর রামনগর পুকুরকুল ঈদগাহ ময়দানের সামনে মাদক ও অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছে। রাত পৌনে একটার দিকে সেখানে পৌছে আবুল হোসেনকে আটক করা হয়। সে সময় পুলিশ দেখে বিল্লার দৌড়ে পালিয়ে যাওযার চেষ্টা করে। কিন্তু পালানোর সময় রেললাইনের ওপর পড়ে গিয়ে হাতে ও পায়ে আঘাত পায়। পরে বিল্লালকে আটক করে তার কাছ থেকে একটি ওয়ান স্যুটারগান, এক রাউন্ড গুলি ও ১৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার ও আবুল হোসেনের কাছে থাকা ৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।

ওসি মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, আটক দু’জনই সন্ত্রাসী। তারা অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে। বিশেষ করে বিল্লালের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, মারামারিসহ বেশ কয়েকটি মামলা আছে। অস্ত্র ও মাদক আইনে বিল্লাল ও আবু হোসেনের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।

পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, বিল্লাল দৌড়ে পালানোর সময় ওই এলাকার রিয়াজের বাড়ির সামনে রেললাইনের ওপর পড়ে গিয়ে ডান পায়ের হাটু ও বাম হাতের কব্জিতে আঘাত লাগে। তার চিকিৎসার জন্য যশোরে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের ডাক্তার বজলুর রশিদ টুলু বলেন, বিল্লাল নামে ওই ব্যক্তির বাম পা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে বিল্লাল ‘পড়ে গিয়ে’ আঘাতপ্রাপ্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। রাতেই তাকে পুলিশ প্রহরায় খুলনা নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

উল্লেখ, গত ৩ মে জুয়াখেলা ও মোবাইল ফোনসেট ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনার জেরে বকচর এলাকার মটর শ্রমিক ইমাদুলকে গুলি করতে গিয়ে ওই গুলি মিস ফায়ার হয়ে বিদ্ধ হয় সেখানে দাড়িয়ে থাকা শ্রমিক নেতা মিন্টু গাজীর পেটে। ওই ঘটনায় ইমাদুলও জখম হন। তখন থেকে বিল্লাল হোসেন, আবুল হোসেন, সাইফুল, নয়ন, লাল্টুসহ অন্যান্যরা আত্মগোপন করে ছিল। পুলিশ বিল্লাল ও আবুলকে আটক করলেও অন্যদের আটক করতে পারেনি।