করোনা সংক্রমন রোধে সেনাবাহিনীর জীবানুনাশক টানেল ও কন্টাক্ট ট্র্যাকিং পোষ্ট

চলছে প্রাণঘাতী করোনার মহামারি তান্ডব। বিধ্বস্ত প্রায় পুরো বিশ্ব। বিশেষ করে অর্থনীতি। লকডাউন বা সাধারণ ছুটি থাকায় বাংলাদেশের সাধারণ মানুষজনকে ঘরেই থাকতে হচ্ছে। ফলে প্রতিনিয়ত মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং গরিব অসহায় মানুষদের অর্থনৈতিক দুর্দশার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। আর এই মহাদুর্যোগে মানবতার টানে অতীতের সব প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতোই নির্ভীকচিত্তে যশোর অঞ্চলের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশন।

এ দিকে, নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক অভিনব প্রকল্প চালু করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের একটি উল্লেখযোগ্য প্রকল্প হলো জীবানুনাশক টানেল এবং কন্টাক্ট ট্র্যাকিং পোষ্ট স্থাপন।

করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে মাগুরা, যশোর, খুলনা এবং ঝিনাইদহে সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে জীবানুনাশক টানেল স্থাপন করা হয়েছে। শহরে প্রবেশ ও বের হওয়ার সময় সকল ব্যক্তি, মোটরসাইকেল, সাইকেল, ভ্যান-রিকশা এই ট্যানেলের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। স্থাপনকৃত টানেলের ভেতরে দিনের একটি বড় সময় ধরে জীবানুনাশক ডিটার্জেন্ট স্প্রে করা হচ্ছে। জীবাণুমুক্ত করতে পানির সঙ্গে মানুষের ব্যবহার উপযোগী ডিটারজেন্ট ও খার জাতীয় মেডিসিন ব্যবহার করা হচ্ছে এ ট্যানেলে। এর ফলে সকল ধরনের যানবাহন এবং মানুষের শরীরে লেগে থাকা জীবাণু নষ্ট করা সম্ভব হবে।

এছাড়াও সম্প্রতি সময়ে মাগুরায় প্রবেশদ্বারে স্থাপনকৃত কন্টাক্ট ট্র্যাকিং পোস্ট অতিক্রম করার সময় প্রতিটি মানুষকে এখানকার স্বাস্থ্য ক্যাম্পে নিয়ে শরীরের তাপমাত্রাসহ করোনার নানা উপসর্গ পরীক্ষা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় করোনার ঝুঁকি কিংবা ভাইরাস শনাক্ত হলে তার বিষয়ে সে যে জেলার অধিবাসী সেই জেলার জেলা প্রশাসককে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এজন্যে তার ছবি তুলে রাখাসহ জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য এখানে সংরক্ষণ করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য যে, যশোর সেনানিবাসের মেডিকেল টিম কর্তৃক অসহায় মানুষদের চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব, হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণ ছাড়াও গণপরিবহন চলাচল, ত্রাণ বিতরণ, অসহায় কৃষকদের ক্ষেত থেকে সবজি ক্রয় এবং দুস্থ কৃষকদের মাঝে বিভিন্ন প্রকার শস্য/সবজি বীজ বিতরণ কার্যক্রম অব্যহত রেখেছে।