যশোরে খুনিদের বিরুদ্ধে মামলা করে বাড়ি ছাড়া নিহত হাসেমের পরিবার

যশোর সদর উপজেলার ভাতুড়িয়া গ্রামের কৃষক হাসেম আলীর খুনিদের বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে পড়েছেন তার স্ত্রী ও সন্তানরা। খুনিদের হুমকির মুখে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করছে। এ ঘটনায় তারা পুলিশকে জানালে তারাও কোন সহযোগিতা করছে না। বরং পুলিশও খুনিদের পক্ষ থেকে কৃষকের পরিবারকে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন।

রোববার সকালে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে নিহত কৃষক হাসেম আলীর স্ত্রী লিলিমা বেগম লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিলিমা বেগমের ছেলে আছোর আলী, মেয়ে মাহিয়া খাতুন, প্রতিবেশী আব্দুল মজিদ, ইমদাদুল হক মিলন, ওয়াজেদ গাজী উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিলিমা বেগম জানান, গত ১৫ জানুয়ারি খেজুরের রস খাওয়াকে কেন্দ্র করে হাসেম আলী ছেলের উপর সন্ত্রাসী নুরুল ইসলাম ওরফে নুরু মুহুরীর নেতৃত্বে তার ক্যাডাররা হামলা করে। এসময় হাসেম আলী এগিয়ে গেলে তাকেও মারপিট করা হয়। পরদিন হাসান আলী মারা যান। ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানায় ২৭ এপ্রিল একটি হত্যা মামলা করা হয়। আসামি করা হয় ভাতুড়িয়া গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে নুর ইসলাম ওরফে নুরু মুহুরী, একই গ্রামের আয়নাল আলীর ছেলে আব্দুল মান্নান, আকবর আলীর ছেলে মিন্টু, আবুল কাশেমের ছেলে কবিরুজ্জামান ওরে কাজল, আব্দুস সামাদের ছেলে আতিয়ার ওরফে আতি খোকা, ওয়াজেদ ড্রাইভারের ছেলে আলামিন, লতিফ গাজীর ছেলে আহসান, নুর ইসলামের ছেলে সিরাজুল, আব্দুল মান্নানের ছেলে বাপ্পি, ওসমানের ছেলে ইউনুস, হাসেম আলীর ছেলে রফিকুল, আব্দুস সালামের ছেলে রাজু, মফিজুর রহমান মিস্ত্রির সোহেল ইমরান, ওমর আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর, রওশন আলীর ছেলে আব্দুল গাফফার ও ইমামুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

তিনি আরো জানান, মামলা হওয়ার পর থেকে আসামিরা প্রতিনিয়ত মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন। তিন চার দিন আগে আসামিদের স্ত্রীরা তাদের বাড়িতে আবার হামলা করেছে। এজন্য প্রাণভয়ে নিলিমা বেগম তার সন্তানদের নিয়ে বাড়ির বাইরে অবস্থান করছেন। বিষয়টি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শাহজাহান আলীকে জানানো হয়েছে। কিন্তু তিনি আসামিদের আটক না করে বরং বাদীকে বিভিন্নভাবে ভয় দেখাচ্ছেন।

লিলিমা বেগম সন্তানদের নিরাপত্তা এবং সুবিচার পেতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।