যশোরের চৌগাছার গৃহবধূ হত্যা মামলায় স্বামী আটক

যশোরের চৌগাছার গৃহবধূ লায়লাতুন জান্নাত হত্যা মামলার প্রধান আসামি তার স্বামী এনামুল কবীর ইসমাইলকে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার সকালে চৌগাছা কুটিপাড়া মোড় থেকে পুলিশ তাকে আটক করে। এদিনই তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। আটক ইসমাইল একই উপজেলার তিলকপুর গ্রামের এক্সের আলী মন্ডলের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, স্বামী ইসমাইলের দাবি অনুযায়ি ২ লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে রাজি না হলে গত ২৩ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে আবারো মারপিট করা হয়। বিষয়টি মোবাইল ফোনে লায়লা তার পিতাকে জানান। এরপর আবারো গত ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে তার স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়িসহ সকলে মারপিট করে। পাশাপাশি তাকে জোর করে মুখে কীটনাশক ঢেলে দিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। একইদিন সন্ধ্যার পর লায়লাকে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এরপর যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু তার অবস্থার অবনতি হলে পরদিন ১ মে সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে রওনা হয়। কিন্তু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌছানোর আগেই লায়লা মারা যান। বিষয়টি লায়লার পিতার বাড়িতে জানানো হয়নি। ১ মে দুপুরে লোক মারফত জানতে পেরে চৌগাছা থানায় এজাহার দেয়া হয়। সন্ধ্যার পরে থানার এসআই গিয়াস উদ্দিন তিলকপুর স্বামীর বাড়ি থেকে লায়লার লাশ উদ্ধার করে।

এ মামলার প্রধান আসামি লায়লার স্বামী ইসমাইল দেবর হাসান মন্ডল, বকুল মন্ডল, শ্বশুর এক্সের আলী মন্ডলসহ ৫জন পলাতক রয়েছে।

এই ঘটনায় লায়লার পিতা অ্যাডভোকেট শেখ তায়েব আলী আসাদ বাদী হয়ে চৌগাছা থানায় মামলা করেন। পুলিশ গত ৩ মে এই মামলার আসামি নিহত লায়লার শাশুড়ি জুলেখা বেগম, ননদ ইসমাতারা ওরফে তারা বেগম ও মর্জিনা পারভীন মণি নামে একজনসহ মোট তিনজনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করে। সর্বশেষ রোববার এলাকা থেকে এই মামলার প্রধান আসামি ইসমাইলকে আটকের পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

তবে এ মামলার আসামি লায়লার দেবর হাসান মন্ডল, বকুল মন্ডল, শ্বশুর এক্সের আলী মন্ডলসহ ৩জন এখনো পলাতক রয়েছে।