বেনাপোল দিয়ে ভারতফেরত যাত্রীদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন বাতিল

বাতিল করা হলো প্রাতিষ্ঠানিক হোম কোয়ারেন্টাইন নামক খড়গ। এখন থেকে ভারতফেরত যাত্রীরা কোনোরূপ কোয়ারেন্টাইনের ঝামেলা ছাড়াই ফিরতে পারবেন বাড়িতে। তবে শর্ত-পালন করতে হবে নিজ বাড়িতে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন যাপনে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনে কর্মরত স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানা যায়, ভারতে লকডাউনের কারণে আটকে পড়া যে সব বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী বেনাপোল দিয়ে দেশে ফিরছিলেন তাদের প্রত্যেককে বেনাপোল পৌর বিয়ে বাড়ি কমিউনিটি সেন্টার ও ঝিকরগাছার গাজির দরগাহ’র প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছিল। ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে এ পর্যন্ত ৫ শতাধিক যাত্রী অবস্থান শেষে নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার এক আদেশে পূর্বের আদেশ স্থগিত করে ভারতফেরত যাত্রীদের প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বাড়ি গিয়ে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য।
গত ৬ এপ্রিলের আগে ভারত থেকে যারা দেশে ফিরছিলেন করোনা সংক্রমণ রোধে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তারা নিয়ম না মানায় হোম কোয়ারেন্টাইন নিয়ম বাতিল করে সরকারি তত্ত্বাবধানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন চালু করা হয়। ভারতফেরত যাত্রীদের বেনাপোল পৌর বিয়ে বাড়ি ও যশোর গাজীর দরগাহে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে ১৪ দিন অবস্থান রাখার হয়।

এদিকে, ১৪ মে সরকারি নতুন নির্দেশনা জারি করে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত কারো শরীরে করোনা উপসর্গ না থাকলে তারা নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। এই নির্দেশের পর সব যাত্রীই বাড়ি ফিরছেন।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার আবু তাহের জানান, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক যাত্রীদের হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন নির্ধারণ করা হচ্ছে। বুধবার পর্যন্ত যারা দেশে ফিরেছেন তাদের কারো শরীরে করোনার কোনো উপসর্গ না থাকলেও সবাইকে ১৪ দিনের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। এখন সবাইকে নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে কেউ করোনার সন্দেহজনক হলে তাকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। যারা হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন তারা নিয়ম মানছেন কিনা তা নিয়মিত খোঁজ-খবর নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩৬ দিনে বেনাপোল স্থলপথে ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন ৩ হাজার ৬২৪ জন নারী-পুরুষ ও শিশু। এসব যাত্রীরা প্রায় সবাই ছিলেন বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে। ভারত থেকে ফেরার সময় তারা সবাই করোনা সংক্রমণ মুক্ত ছিল বলে উপজেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্রটি নিশ্চিত করেছে।