টেলিযোগাযোগ সেবায় কর বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
সংগঠনটির দাবি, দেশে এখনও ৫০ শতাংশ নাগরিক টেলিযোগাযোগ সেবার বাইরে রয়েছে। তাছাড়া বর্তমান করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ঘরে বসে যেখানে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও সরকার অনলাইন সেবায় কার্যক্রম পরিচালনা করতে বলছে, সে সময় এই খাতে কর বৃদ্ধি একটি দ্বিমুখী নীতি।
গত ২ জুন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে ‘মোবাইলে কথা বলার খরচ বাড়ছে’ শিরোনাম খবর প্রকাশিত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ভাইবার, ফেসবুক, টুইটার বিভিন্ন মাধ্যমে কথা বলছে। এসব অপারেটরের সঙ্গে সরকারের কোনো চুক্তি না থাকায় সরকার বিপুল অঙ্কের রাজস্ব হারিয়েছে। আগামীতে কর বৃদ্ধি হলে এসব মাধ্যমের ব্যবহারও বৃদ্ধি পাবে। এতে একদিকে যেমন এসব প্রযুক্তি ব্যবহারে কর বাড়ানো হলে অপারেরটরা ব্যবসায়ীকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তেমনি সরকারও বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাবে। শুধুমাত্র প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও টু-জি সেবা গ্রহণকারীদের ব্যয় বাড়বে। সরকারের উচিত হবে কর না বাড়িয়ে নতুন করে করের বিস্তার বাড়িয়ে কর আরোহণ করা।
বিবৃতিতে বলা হয়, এমনিতেই গ্রাহকরা এখন সরকারকে সরাসরি ২৮ শতাংশ কর দিয়ে থাকে। তাছাড়া অপারেটরদের করপোরেট ট্যাক্স, সিম ট্যাক্স, উন্নয়ন ট্যাক্স, রাজস্ব ভাগাভাগি ও সামাজিক নিরাপত্তা তহবিলসহ ১০০ টাকায় ৫৭ টাকা সরকারকে দিয়ে থাকে। যার ফলে অধিক সেবা ও মানসম্মত সেবা থেকে গ্রাহকরা বঞ্চিত হচ্ছে। এখাতে কর বাড়ালে গ্রাহকরা আরও সমস্যার সম্মুখীন হবে।
এতে আরও বলা হয়, অর্থমন্ত্রীকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, গত ৫ বছরে এ খাতে দফায় দফায় শুধু কর বাড়ানো হয়েছে। নতুন কোনো বিনিয়োগ আসেনি। বরং দেশীয় একটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়েছে সেই সঙ্গে ভারতীয় টেলিকম মার্জার করে চলে গেছে। আমাদের পরামর্শ কর হার কমিয়ে দেশের সেবাদানকারী অপারেটরদের এ, বি ও সি এই তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে রাজস্ব আদায়ের ব্যবস্থা নিতে। তা না হলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান টেলিটক। অন্যদিকে গ্রাহকরা সাশ্রয়ী মূল্যের সেবা থেকে বঞ্চিত হবে। আমাদের দাবি, এ বছর ২০২০-২১ অর্থ বছরের বাজেটে কোনো প্রকার কর এই সেবা খাতে যেন বৃদ্ধি করা না হয়।