যশোরে গৃহবধু হত্যার ঘটনায় ৮ মাস পর মামলা

coronavirus jessore map

যশোরে মনিরা বেগম (১৯) নামে এক গৃহবধু হত্যার ঘটনায় ৮ মাস পর কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।

নিহত মনিরা বেগম ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার উত্তর তারাবুনিয়া গ্রামের মৃত মতিয়ার রহমান মোল্লার ছেলে সুমন মোল্লার স্ত্রী। শহরতলীর রাজারহাট রামনগর মোল্লাপাড়ার মিজানুর রহমানের বাড়ির ভাড়াটিয়া।

নিহত মনিরা বেগমের মা পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার রাজাপাশা গ্রমের (হাওলাদারবাড়ি) সোহরাব হোসেন হাওলাদারের স্ত্রী মোছাঃ নাছিমা বেগম (৪০) বাদি হয়ে মামলা করেন। মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।

আসামরিা হচ্ছেন ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার উত্তর তারাবুনিয়া গ্রামের মৃত মতিয়ার রহমান মোল্লার ছেলে সুমন মোল্লা, একই গ্রামের আব্দুল মোতালেব শেখের ছেলে মনিরুজ্জামান (২৮), ও মনিরুজ্জামানের স্ত্রী শুখি বেগম (২২)।

মামলায় নাছিমা বেগম উল্লেখ করেছেন, মনিরা বেগমকে ২ মাস আগে সুমন মোল্লার সাথে বিয়ে দেয়া হয়। মনিরা স্বামী সুমন, মনির ও শুখি বেগমদের সাথে রাজারহাট রামনগর মোল্লাপাড়ার মিজানুর রহমানের বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করতো। বিয়ের পর জামাই সুমনকে মোটরসাইকেল ক্রয়ের জন্য যৌতুক বাবদ ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা দেয়া হয়। গত বছর ১৯ সালের ১০ অক্টোবর রাত আনুমানিক ৯ টার সময় মেয়ের নুন্দায় মোতালেব শেখ মোবাইলে আমাকে জানায় মনিরা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আড়াইশ শয্যার যশোর জেনারেল হাসপাতালে মারা গেছে। মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ শুনে ওই দিন রাত ১১ টায় উত্তর তারাবুনিয়া পৌছায়। পরের দিন ১২ অক্টোবর বোর ৪ টার সময় জামাই সুমন মেয়ে মনিরার লাশ বাড়িতে এনে আমাকে বলে মনিরা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ১১ অক্টোবর রাত ৮ টায় যশোর হাসপাতালে মারা যায়। মনিরার লাশ তড়িঘড়ি করে দাফন করার চেষ্টা করলে আমার সন্দেহ হয়। আমি রাজাপুর থানায় অভিযোগ করি। এঘটনায় রাজাপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। মামলা নং ঃ ১৮। তারিখ ঃ ১২.১০ ১৯।

মনিরার লাশের ময়না তদন্তের পর জানা যায় মনিরাকে হত্যা করা হয়েছে। নাছিমা বেগমের ধারণা ১১ অক্টোবর দুপুর ১২ টা থেকে রাত ৮ টার মধ্যে যে কোন সময় আসামিরা মনিরাকে হত্যা করে। এঘটনায় নাসিমা বেগম ১৪ জুন-২০২০ দুপুরে কোতয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা নং ঃ ৩৫। তারিখ ঃ১৪.০৬.২০। ধারা ৩০২/৩৪।