লাদাখ সীমান্তে উত্তেজনা, এবার ‘বিশেষ কমান্ডো’ পাঠাচ্ছে ভারত

উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভারত-চীনের সম্পর্ক। লাদাখ সীমান্তে গলওয়ান উপত্যকায় চীনা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর সতর্ক অবস্থানে আছে দুই দেশের সেনারা। সীমান্ত বিবাদ নিয়ে এর আগেও বহুবার সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুই দেশ। কারন ভারতের সঙ্গে প্রায় ৪ হাজার ৩৮৮ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সীমানা রয়েছে চীনের।

এদিকে, চীনা সেনার সঙ্গে ১৫ জুনের সংঘাতের পর পূর্ব লাদাখের গলওয়ানে নজরদারি বাড়িয়েছে ভারত। উঁচু পাহাড়ে ঘেরা দুর্গম সংঘাতের ক্ষেত্রগুলোতে দ্রুত পৌঁছনোর জন্য মোতায়েন করা হয়েছে প্রশিক্ষণপ্রান্ত সেনা ও কমান্ডোকে। কাশ্মীর থেকে লাদাখে পাঠানো হয়েছে দুটি প্যারা কমান্ডো ইউনিটকে। এরমধ্যে একটি রাষ্ট্রীয় রাইফেলস এবং দ্বিতীয়টি ইনফ্র্যান্টি ব্রিগেডের সঙ্গে ছিল। পাঠানো হয়েছে অতিরিক্ত সাত ব্যাটালিয়ন সেনাও। এবার পাঠানো হচ্ছে ভারতীয় সেনার ঘাতক বাহিনীর কমান্ডোদের। ইজরায়েলের বিশেষ কমান্ডোদের আদলে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এই ঘাতক বাহিনী। কোনও আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াই খালি হাতে শত্রু নিধনের ক্ষমতা রাখেন এই বাহিনীর কমান্ডোরা।

বিভিন্ন রিপোর্টে জানা গেছে, কর্নাটকের বেলগামে ৪০ দিনের বেশি সময় ধরে ট্রেনিং দেওয়া হয় ঘাতক বাহিনীর কমান্ডোদের। দুর্গম এলাকায় অভিযানের জন্য শারীরিক ক্ষমতা ও ক্ষিপ্রতা বাড়াতে কড়া প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। প্রশিক্ষণের সময় ৩৫ কিলো ওজন কাঁধে নিয়ে ৪০ কিলোমিটার দৌড়তে হয় এই কমান্ডোদের। বিশেষ হ্যান্ড টু হ্যান্ড কমব্যাটের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই কমান্ডোদের প্রত্যেকেই মার্শাল আর্টে দক্ষ। ঘাতক কমান্ডোর ইউনিট প্রতি অতিরিক্ত রিজার্ভ দলও প্রস্তুত রাখা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন গলওয়ানের পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪-তে কাঁটাতার ও পেরেক বসানো লাঠি নিয়ে ভারতীয় সেনাদের আক্রমণ করেছিল চীনা সেনারা। হামলায় ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যু হয়।