যশোরে রাসেল হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত আরো ২জনের দায় স্বীকার

jessore rasel murder news

বঙ্গবন্ধু ছাত্র পরিষদ যশোর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ রাসেল হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত আরো দুই আসামি হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে সদর উপজেলার বড় ভেকুটিয়া গ্রামের ইনসার আলীর ছেলে এনামুল (৩৩) ও বালিয়া ভেকুটিয়া মাঠপাড়ার মশিয়ার রহমানের ছেলে মফিজুর (২০)।

গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি গাঁছি দা উদ্ধার করা হয়।গ্রেফতারকৃতদের আদালতে চালান দেয়া হলে তারা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবান বন্দি দেয়।

ডিবি পুলিশের ওসি মারুফ আহম্মেদ জানান, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামিদের অবস্থান সনাক্ত করে ৯ জুলাই বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে নড়াইল সদর উপজেলার মীর্জাপুর এলাকা থেকে প্রথমে এনামুলকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি ও দেখানো মোতাবেক ভেকুটিয়া এলাকা থেকে মফিজুরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত দুইজনের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে মফিজুরের বসত বাড়ি থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত লোহার তৈরি ধারালো গাঁছি দা উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে রাসেল হত্যা মামলার মোট ৯ আসামিকে আটক করলো ডিবি পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এস আই মাসুম কাজি জানান, গ্রেফতারকৃতদের শুক্রবার ১০ জুলাই জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হলে তারা সাব্বির আহমেদ রাসেল হত্যা মামলার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবান বন্দি দেয়।
এর আগে ১৬ এপ্রিল রাতে পুলিশ সদর উপজেলার চাদপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে ওমর আলী, বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের মিয়ারাজ মন্ডলের ছেলে ইমদাদুল হক এমএ, মৃত সলেমান মন্ডলের ছেলে রিজাউল ইসলাম ও সাগরকে আটক করে। এর মধ্যে সাগর হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি প্রদান করে। পরে শাহিন আলম, পিচ্চি বাবু ও আমির হোসেনকে আটক করে। পিচ্চি বাবু ও আমির হোসেন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি প্রদান করে।

মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস উপলক্ষ্যে জনসাধারনের মাঝে ত্রান বিতরণের তালিকা করার সময় মহল্লার রাস্তা দিয়ে দ্রুত গতিতে ধুলা উড়িয়ে মোটরসাইকেল চালানোর প্রতিবাদ করায় প্রতিপক্ষ শহিদ মেম্বারের সহযোগি সামিরুল গংদের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে পূর্ব শত্রুতা ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সামিরুল গং শহিদ মেম্বারের নির্দেশে ১৫ এপ্রিল রাতে পিতার সামনে থেকে তুলে নিয়ে সাব্বির আহমেদ রাসেলকে (২৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। জখম করা হয় তার ভাই আল আমিনকে (৩০)। রাসেল বালিয়া ভেকুটিয়া গ্রামের শ্মশান পাড়ার আবু সালেহর ছেলে। এঘটনায় রাসেলে পিতা আবু সালেহ পরের দিন ১৬ এপ্রিল ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা আরো ৭/৮ জনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। মালার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন কোতয়ালি থানার পরিদর্শক আহসান উল্লাহ চৌধুরী। তিনি বেনাপোলে বদলি হওয়ায় মামলাটি ডিবিতে স্থানান্তরিত করা হয়।