যশোরের অভয়নগর নওয়াপাড়া নৌ বন্দরের তারানা ঘাটে নিখোঁজ ডুবুরি নাঈম হোসেনের লাশ ৩০ ঘন্টা পর ভেসে উঠলো। শনিবার সন্ধ্যা সাতটার সময় ওই ঘাটে নোঙ্গর করা একটি জাহাজের তলা থেকে লাশটি ভেসে উঠে। রোববার দুপুরে যশোর জেনারেল হাসপাতালে লাশের ময়না তদন্ত সম্পুন্ন হয়৷
ঘাটে জাহাজ নঙ্গর করার জন্য স্থাপিত একটি ত্রুটি পূর্ণ হেলে পড়া পিলার নদী থেকে অপসারণের কাজ করতে যেয়ে নাঈম হোসেন শুক্রবার সকাল দুপুর ১ টায় তিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন।
থানার উপ-পরিদর্শক( এস আই) মফিজুর রহমান বলেন, নাঈম হোসেন পেশাদার ডুবুরি না। নদীতে হেলে পড়া একটি পিলার উঠাতে খুলনা থেকে চারজন সাধারন ডুবুরি আনা হয়। সকাল সাড়ে ১১ টা থেকে ১ টার মধ্যে তারা নদীতে ডুবিয়ে ডুবিয়ে পিলার উঠানোর কাজ করছিলো। সেখান থেকে একজন লোক নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ ডুবুরি কে উদ্ধার করতে নওয়াপাড়া ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালায়। তারা নাঈমকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়ে সন্ধ্যার পর অভিযান স্থগিত করে।
জানা গেছে, ভৈরব নদের নওয়াপাড়া এলাকায় অবস্থিত তারানা ঘাটে হেলে পড়া পিলারটি জাহাজ চলা চলে বিঘ্ন সৃষ্টি করছিলো। পিলারটি নদী থেকে অপসারণের জন্য ঘাট মালিক কর্তৃপক্ষ খুলনা থেকে চার জন ডুবরি আনেন। ডুবুরি দল পানিতে নামলে প্রচন্ড স্রাতের কবলে পড়ে। এ সময় তিনজন ডুবরি তীরে উঠতে সক্ষম হয়। এবং একজন ডুবুরিকে স্রাতে টেনে নিয়ে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ হওয়া ডুবুরির নাম নাঈম হোসেন(৩৫)। তিনি খুলনার গল্লামারি এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহমানের ছেলে।