যশোর-বেনাপোল সড়ক ৬ লেনে উন্নতী করনসহ ৫ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

যশোর-বেনাপোল মহাসড়কটি ৬ লেনে উন্নতীকরন এবং শতবর্ষী (একশত সত্তর বছর) মৃত প্রায় গাছ অপসারনের ৫দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারীং এন্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্টস এসোসিয়েশন।

সংবাদ সম্মেলন এর ৫ দাবি গুলো হচ্ছে
১. যশোর-বেনাপোল সড়কের পুরাতন জীর্ন এবং অকার্যকর গাছ অপসারন করে এশিয়ান হাইয়ের করিডোর সড়কটি আন্তর্জাতিক মানের প্রসস্থকরন এবং ৬ লেন করার দাবি।
২. যশোর-বেনাপোল সড়কের কর্পেটিংয়ের কাজ সঠিক মাপ অনুযায়ী বাস্তবায়ন না করে উভয় পার্শ্ব হতে ৩ ফুট করে বাদ রাখা হচ্ছে। ৩০ ফুট চওড়া সড়কটির পুরোটাই কার্পেটিং করার দাবি।
৩. আমড়াখালী হতে বন্দর পর্যন্ত বাইপাসের অসমাপ্ত সংযোগ সড়ক বাস্তবায়নের দাবি।
৪. বেনাপোলের বাইপাস সড়কের সম্মুখে ট্রাফিক আইল্যান্ড রেখে বাইপাসের সাথে মেইন সড়কে ২০ গজ জয়েন্ট সড়ক নির্মান করার সুপারিশ।
৫. বেনাপোলে একটি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মানের দাবি।

সোমবার বেলা ১২ টার সময় বেনাপোল সিএন্ডএফ এসেন্টস এসোসিয়েশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমন সজন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুজ্জামন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মহসিন মিলন, কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন সিনিয়র সদস্য আব্দুল লতিফ, সদস্য মজনুর রহমান নুপুর, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান প্রমুখ।

এসোসিশেনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, ভারতের সাথে ব্যবসা বানিজ্যর জন্য সড়ক পথে বেনাপোল দিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল। কোলকাতা শহর বেনাপোল থেকে দুরত্ব কম। এ পথে প্রতিবছর ৩০ হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি রফতানি হয়ে থাকে। সরকার প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করে বেনাপোল বন্দর থেকে। এ পথে প্রায় প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ হাজার পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত করে থাকে। এশিয়া হাইওয়ের ৬ লেনে যশোর-বেনাপোল সড়কটি উন্নতি করতে হলে শতবর্ষী মৃত প্রায় গাছ গুলি অপসারন করতে হবে। এই গাছের ডালে আমদানি রফতানির গাড়ি সহ অন্যান্য পরিবহন প্রায় দুর্ঘটনার শিকার হয়। গাছের শুকনা ডাল ঝুলে থাকে। রাস্তা প্রশস্ত না হওয়ায় গাছের সাথে গাড়ির ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা ঘটে। এছাড়া জীর্ন গাছগুলি বড় বড় ঝড়ে মানুষের ঘরের উপর পড়ে বড় বড় দুর্ঘটনার পরিণত হয়।

এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুজ্জামন বলেন, এই বেনাপোল – পেট্রাপোল বন্দর ইতিমধ্যে ৪ দেশীয় ট্রান্সশিপমেন্ট করিডোরে আওতায় এসেছে। তিনি বলেন, মোজাহার নামে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি যে রাস্তার দুই পাশে তিন ফুট করে কার্পেটিং না করে খালি রাখছে, তাকে দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহনগুলী। পুরা সড়কটির দুই পাশের ৩ ফুট ৩ ফুট ৬ পুট রাস্তা কর্পেটিং এর দাবি জানান।

যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মহসিন মিলন বলেন, পদ্মা সেতু হয়ে সরাসারি কোলকাতা-বেনাপোল-ঢাকা ট্রেন এবং সর্বপ্রকার যানবাহন বন্দর নগরী বেনাপোল হতে চলবে।