বেনাপোলে ভাইয়ের গুলিতে ভাই নিহত

নেশার টাকার দাবিতে আপন ভাই ব্যবসায়ী রাসেল নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে একাধিক মামলার আসামি আমজাদ নামে এক কুখ্যাত সন্ত্রাসী। ঘটনাটি ঘটেছে বেনাপোল পোর্ট থানার কাগজপকুর গ্রামে।

তবে গুলি করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় আমজাদ হোসেন পিস্তল গুলি ও চাকুসহ আটক হয়েছে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের কাছে।

বুধবার সকাল ১০ টার সময় এ ঘটনা ঘটে কাগজপুকুর গ্রামে তাদের নিজ বাড়িতে।

নিহত রাসেল হোসেন (৩৭) ও হত্যাকারী আমজাদ (৩২) হোসেন কাগজপুকর গ্রামের ইদ্রিস আলী ইদুর ছেলে।

নিহত চাচা আব্দুল কারিম বলেন, মঙ্গলবার রাত্রে আমজাদ নেশার জন্য তার ভাই রাসেলের কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করে। এ নিয়ে দুই ভাই কথা কাটাকাটি হয়। বুধবার সকাল ১০ টার সময় আবার সে রাসেলের কাছে টাকা দাবি করে। রাসেল টাকা দিতে অস্বীকার করলে আমজাদ তার গলায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করে। পরে রাসেলকে বুরুজ বাগান হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষনা দেন।

স্থানীয়রা জানান, বেনাপোল শার্শার কুখ্যাত সন্ত্রাসী একাধিক মাদক ও হত্যা মামলার আসামি নিজের বোমায় নিজে নিহত আমিরুলের সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিল এই আমজাদ হোসেন। আমিরুল নিহত হওয়ার পর থেকে সে কাগজপুকুর বেনাপোল শার্শা এলাকায় ছিনতাই সহ নানা ধরনের অপরাধ কর্মকান্ডর সাথে জড়িত ছিল।

নিহত রাসেল হোসেন বেনাপোল বাজারে ডাবলু মার্কেটে একজন কসমেটিক্স ব্যবসায়ী।

বেনাপোল বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার আব্দুল ওহাব বলেন, স্থানীয় লোক মারফত ওই যুবককে আমরা আটক করি। স্থানীয় লোক বলে সে হত্যা করে পালিয়ে যাচ্ছে। পরে তাকে আটক করে নাম জানতে চাইলে সে তার নাম আলী হোসেন বলে জানায়। এসময় তার নিকট একটি ছোট চাকু পাওয়া যায়। আমরা নিশ্চিত হতে না পেরে ওই যুবককে ছেড়ে দেওয়ার পর পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে।

বেনাপোল পোর্ট থানার ডিউটি অফিসার এ এস আই রোকনুজ্জামান বলেন, আমজাদ ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় ওসি মামুম খানের নেতৃত্বে তাকে সীমান্তের সাদিপুর ইছামতি নদী থেকে আটক করা হয়।

বেনাপোল পোর্টানার ওসি মামুন খান আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, আসামি এখন থানা হাজতে আছে। তার নিকট থেকে একটি পিস্তল ৩ রাউন্ড গুলি ও একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য যশোর আড়াইশবেড হাসপাতালে পাঠানো হবে। থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।