পল্লবী থানায় বিস্ফোরণে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার তথ্য নেই : ডিএমপি

রাজধানীর মিরপুরের পল্লবী থানায় বিস্ফোরণের সঙ্গে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়।

বুধবার দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের এই কথা জানান।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিরপুরের কালশি কবরস্থান এলাকা থেকে তিন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়, যাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ ওয়েট মেশিন সদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়।

কৃষ্ণপদ রায় বলেন, এই বস্তুটি পরীক্ষার জন্য সিটিটিসির স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপকে ডাকা হয়। এরই মধ্যে থানা পুলিশ সেটি পরীক্ষার জন্য গেলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

তিনি জানান, এতে চারজন পুলিশ কর্মকর্তা ও থানার একজন সিভিলিয়ান কর্মচারী আহত হন। পরবর্তীতে ওই বক্স বা প্যাকেট সদৃশ বস্তুর মধ্যে আরও বিস্ফোরক পাওয়া যায়, যেগুলো এক্সপার্টরা নিষ্ক্রিয় করে থানাকে ঝুঁকিমুক্ত করেছেন।

ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এই সন্ত্রাসীরা মিরপুর বেইজড অপরাধী। এদের সঙ্গে কোনো জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। এছাড়া পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সারাদেশে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করে যে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছিল, তার সঙ্গে এটির সম্পর্ক নেই।’

তিনি বলেন, এই পেশাদার অপরাধীরা কারও জমি দখল বা কাউকে মেরে পালানোসহ যে কোনো অপরাধ কর্মকাণ্ড করে পালানোর সময় এগুলো ব্যবহার করতে পারে অথবা পুলিশকে বিভ্রান্ত করার মতলবও থাকতে পারে।

বিষয়টির বিশদ তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে বলেও জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার।

প্রসঙ্গত, বুধবার সকালের দিকে পল্লবী থানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় চার পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজন আহত হন।

পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, বিস্ফোরণে থানার ডিউটি অফিসারের রুমের জানালা ও বিভিন্ন আসবাবপত্র তছনছ হয়েছে। বিস্ফোরণের পরপরই থানায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে পুলিশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, র‍্যাব ও জঙ্গি কর্মকাণ্ড অনুসরণ এবং তদন্ত সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে গেছেন। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ- সিআইডির ক্রাইম সিন আলামত সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছেন।