ময়নাতদন্ত রিপোর্টে জানাগেলো বিপ্লবকে হত্যা করা হয়েছিল, স্ত্রীসহ আটক ৩

যশোর শহরের পালবাড়ি ঘোষপাড়ায় বিপ্লব মোল্লাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছিল। ময়নাতদন্ত রিপোর্টে হত্যার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার ১৮ আগস্ট যশোর কোতয়ালি থানায় মামলা হওয়ার পর পুলিশ বিপ্লবের স্ত্রীসহ তিনজনকে আটক করে। বিপ্লব যশোর সদর উপজেলার কামারগন্না মধ্যপাড়ার ইউনুচ আলীর ছেলে।

আটককৃতরা হলো, নিহতের স্ত্রী কুলসুমা আক্তার কুলসুম (২৬), জগমোহনপুর উত্তরপাড়ার আব্দুল হাইয়ের ছেলে তাসবিরুল হোসেন হৃদয় (২৬) ও ইছালী পূর্বপাড়ার আবু তাহেরের ছেলে আব্দুল মতিন (২৪)।

বিপ্লবের পিতা ইউনুচ আলীর দায়েরকরা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, তার ছেলে বিপ্লবের সাথে বড় ভেকুটিয়া কলোনী মোড়ের আছির উদ্দিনের মেয়ে কুলসুমের বিয়ে হয় ৮ বছর আগে। দাম্পত্য জীবণে তাদের দুইটি পুত্র সন্তান আছে। মৃত্যুর চার মাস আগে বিপ্লব তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে যশোর শহরের পালবাড়ি ঘোষপাড়ার সাজ্জাদের বাড়িতে ভাড়া থাকতো। ৩ জুন দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আসামি হৃদয় ও মতিন অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে তার বাড়িতে যায়। তারা বলে বিপ্লব মারা গেছে। তারা বিপ্লবের বন্ধু। তিনি সাথে সাথে ঘোপাড়ার ওই বাড়িতে গিয়ে বিপ্লবের মরদেহ দেখতে পান। তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্ত্যবরত চিকিৎসক বিপ্লবকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তিনি লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দাফন করেন। এই ঘটনায় ৪ জুন কোতয়ালি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। গত ১৮ আগস্ট বিপ্লবের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পুলিশের হাতে আসে। এবং তাতে লেখা আছে; বিপ্লবকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় তিনি তিনজনকে আসামি করে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।

ইউনুচ আলী আরো জানিয়েছেন, কুলসুমের স্বভাব চরিত্র ভাল না। বিপ্লবের বন্ধুদের সাথে তার অনৈতিক সম্পর্ক ছিলো। বিপ্লব মারা যাওয়ার আগে এক মাস সে অন্য কোথাও ছিলো। পরে ফিরে এসে পরিকল্পিতভাবে বিপ্লবকে হত্যা করে কুলসুম।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুরাতনকসবা ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক শেখ শাহিনুর রহমান জানিয়েছেন, তিনজনকে আটক করে বুধবার আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। আর আগে তাদের বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। রিমান্ড শুনানী পরে হবে।