যশোরে কিশোরীকে বাবা কর্তৃক ধর্ষনের চেষ্টা : আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল

Jessore map

বাবা কর্তৃৃক মেয়েকে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ প্রমানীত হওয়ায় আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কাইয়ূম মুন্সী। আসামী শফিকুল ইসলাম বেনাপোল পোর্ট থানার অর্ন্তগত ছোট আঁচড়া গ্রামের বর্তমানে যশোর শহরের শংকরপুর ফিরোজ মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত সাহেব আলীর ছেলে।

অভিযোগ পত্র নং ৫৩০ তারিখঃ ২৬.৮.২০। কোতয়ালি থানার মামলা নং ৬৭ তারিখঃ ৩০/৫/২০ ইং ধারা, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী/২০০৩/ এর ৯(৪)(খ)।

স্ত্রী লাকী খাতুন বাদী হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় উল্লেখ করেন, তিনি বাইরে বাসা বাড়িতে কাজ করে। সকাল হলে বাড়ি হতে বের হয়ে যায়। বাড়িতে একমাত্র মেয়ে (১৩) থাকে। স্বামী শফিকুল ইসলাম বকচর কোল্ড ষ্টোর মোড়ে চায়ের দোকান রয়েছে। সে চা বিক্রয় করে। তার কিশোরী মেয়ে শহরের একটি বালিকা বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে লেখাপড়া করে। লাকী খাতুন লোকের বাসা বাড়িতে কাজে যাওয়ার পর গত ১৫ মার্চ সকাল ৯ টায় শফিকুল ইসলাম বাড়িতে স্ত্রী না থাকার সুযোগে নিজ কিশোরী মেয়ের শরীরের স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দেয়। বিষয়টি কিশোরী তার মাকে বললে উল্টো কিশোরীকে ধমক দিয়ে থামিয়ে দেয়। পরবর্তীতে গত ৯ এপ্রিল দিবাগত রাতে কিশোরী তার মায়ের সাথে ঘুমিয়ে পড়লে পিতা ওই রাতে বারান্দা থেকে ঘরে ঢুকে স্ত্রীর পাশের ঘুমিয়ে থাকা কিশোরী মেয়ের পরনের স্যালোয়ার খুলে ধর্ষনের চেষ্টা করে। মেয়ের চিৎকারে মায়ের ঘুম ভেঙ্গে গেলে স্বামী শফিকুল ইসলামকে ধাক্কা মেরে বাইরে ঠেলে দেয়। পরবর্তীতে বিষয়টি চাপিয়ে রাখার এক পর্যায় ৩০ মে কোতয়ালি মডেল থানায় স্বামী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে এজাহার দিতে বাধ্য হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই কাইয়ূম মুন্সী তদন্ত করে শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।