সিঙ্গাপুরে প্রথম ভাসমান স্টোর খুললো অ‌্যাপল

অ্যাপল বর্তমানে প্রচুর অর্থ সম্পদের মালিক। সম্প্রতি তাদের ২ ট্রিলিয়ন ডলার মূল্য মানকে অতিক্রম করেছে। আধ খাওয়া আপেলের লোগোটি দিয়ে তাদের যাত্রা শুরু। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অ্যাপল স্টোর। অ্যাপলের প্রথম স্টোরটি চালু হয়েছিল সিঙ্গাপুরে, ২০১৭ সালে। এবার সিঙ্গাপুরেই বিশ্বের প্রথম ফ্লোটিং রিটেল মোবাইল স্টোর উদ্বোধন করেছে অ্যাপল। গত বৃহস্পতিবার ১০ সেপ্টেম্বর থেকে মেরিনা স্যান্ডসে এই গম্বুজ আকৃতির স্টোরটি চালু করা হয়েছে যা পানিতে ভাসমান অবস্থায় থাকবে।

ভাসমান এ স্টোরটি ধারালো ক্রিস্টাল প্যাভিলিয়নের মতো। মূলত নাইট ক্লাব আভালনের মতো মনে হতে পারে। ভাসমান এ স্টোরটি গ্লাস প্যানেল দিয়ে সাজানো হয়েছে। দিনের বেলায় এটিতে সিঙ্গাপুরের আকাশ প্রতিফলিত হবে। এতে যে ক্রিস্টালগুলো ব্যবহার করা হয়েছে তেমন ক্রিস্টাল ম্যাক ৯ থেকে ৫-এ ব্যবহার করা হয়েছে। রাতে এটি লণ্ঠনের মতো জ্বলজ্বল করবে। ভাসমান এ স্টোরটির কাঠামো আকৃতি সর্ম্পূর্ণ নতুন। গম্বুজের উপরে জানালা দিয়ে আংশিকভাবে আলোকিত হওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। দেখতে আসল ক্রিস্টাল প্যাভিলিয়নের মতো। এ স্টোরটির সঙ্গে পার্শবর্তী অন্য স্টোরের পানির নিচ দিয়ে সুরঙ্গের মাধ্যমে সংযোগ রয়েছে।

অ্যাপলের নতুন স্টোরটির নকশা রোমের প্যানথিয়নের থেকে অনুপ্রাণিত। এটি সম্পূর্ণ কাঁচ দিয়ে তৈরি, যেখানে মোট ১১৪ পিস কাঁচ এবং ১০টি সরু উল্লম্ব গরাদ ব্যবহার করা হয়েছে।

পানিতে ভাসমান এই নতুন অ্যাপল স্টোরটি দেখতে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। এতে ইনস্টল করা প্রতিটি কাঁচের টুকরো এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যাতে এটি রাতের সময় চমৎকার আলোর এফেক্ট দিতে পারে। এছাড়া স্টোরের ভেতরটি সাজানো হয়েছে সবুজ গাছের সারি দিয়ে। ওপর থেকে বা দূর থেকে এই স্টোরটিকে পানিতে ভাসমান গোলকের মত দেখতে লাগবে। আবার এই স্টোর থেকে ক্রেতারা গোটা শহরের ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ পাবেন।

নতুন স্টোরে ১৫০ জন কর্মচারী রয়েছেন, যারা বিশ্বের ২৩টি ভাষায় পারদর্শী। এই ভাসমান স্টোরে ক্রেতারা অ্যাপলের বিভিন্ন প্রোডাক্ট দেখতে বা কিনতে পারবেন বা ডিভাইস সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্যের জন্য স্টোরের জিনিয়াসের সাথে পরামর্শ করতে পারবেন। শুধু তাই নয়, স্টোরে আসা গ্রাহকরা মেরিনা বে স্যান্ডসের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। বৃহস্পতিবার থেকেই এটি সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করেছে অ্যাপল।
অ্যাপল আরো জানিয়েছে, স্টোরটিতে একটি ভিডিও ওয়াল রয়েছে, ওই ‘টুডে অ্যাট অ্যাপল’ প্ল্যাটফর্মে সংস্থাটি স্থানীয় শিল্পী, গায়ক এবং সিঙ্গাপুরের অন্যান্য সৃজনশীল মানুষদের সৃষ্টি প্রদর্শন করবে। সংস্থাটি বিশ্বাস করে, এই নতুন স্টোর গ্রাহকদের একটি নতুন অভিজ্ঞতা দেবে। প্রসঙ্গত, এই স্টোরটি অ্যাপলের ৫১২ তম স্টোর। অ্যাপল জানিয়েছে তারা সিঙ্গাপুরে ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে রয়েছে। যদিও প্রথমে তারা কর্পোরেটের সাথে এদেশে এসেছিল। কোম্পানি আপাতত সিঙ্গাপুরে ৫৫,০০০ হাজারের কাছাকাছি কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে।