শিক্ষায় বিভক্তির ফল সামাজিক বিভক্তি: মেনন

শিক্ষার ক্ষেত্রে বিভক্তির ফলে সামাজিক বিভক্তি বেড়ে ওঠে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপি। তিনি বলেন, অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও একমুখী শিক্ষাব্যবস্থার স্থলে আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এখন প্রায় ১২ ভাগে বিভক্ত। শিক্ষার ক্ষেত্রে যখন এই ধরনের বিভক্তি থাকে তখন সামাজিক বিভক্তিও বেড়ে উঠে। সামাজিক ঐক্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

শিক্ষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে আয়োজিত অনলাইন আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। “৬২’র শিক্ষা আন্দোলন ও বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা’ শিরোনামে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

মেনন আরো বলেন, যে উদ্দেশ্য নিয়ে ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন হয়েছিল, স্বাধীনতার পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। তবে ড. কুদরত-ই-খোদা শিক্ষা কমিশনের আলোকে ২০১০ সালের শিক্ষানীতি অন্যতম একটি শ্রেষ্ঠ শিক্ষানীতি। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও একমুখী শিক্ষার বাস্তবায়ন তো দূরের কথা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষার অন্তর্ভুক্তি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নির্বাচন প্রদান করা, মাতৃভাষার উন্নয়ন করা, আদিবাসীদের ভাষাগুলোকে সামনে নিয়ে আসা, শিক্ষায় বাণিজ্যিকরণ বন্ধ করা ও ক্রমাগতভাবে শিক্ষাকে রাষ্ট্রীয়করণ বা জাতীয়করণ করার একটিও বাস্তবায়ন হয়নি। উল্টো যেটা হয়েছে সিলেবাসকে সাম্প্রদায়িকরণ করা হয়েছে, পাঠ্যপুস্তক ধর্মীয়করণ করা হচ্ছে এবং একমুখী শিক্ষার বদলে শিক্ষাকে আরো বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। ৬২’র শিক্ষা আন্দোলনকে এখনো প্রাসঙ্গিক দাবি করে তা বাস্তবায়নে একমুখী শিক্ষা বাস্তবায়নের দাবি জানান তিনি।

করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইন ক্লাসের ফলে নতুন এক বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে বলে উল্লেখ করে এই বৈষম্য নিরসনে সরকারের নিকট বিনামূল্যে ডিভাইস প্রদান ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাতে শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেন সাবেক এই ছাত্রনেতা। এ ছাড়াও তিনি শিক্ষায় বাণিজ্যিকরণ বন্ধ করা, একমুখী শিক্ষার বাস্তবায়ন, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষাকে জাতীয়করণ করা ও শিক্ষাখাতে জিডিপির ছয় শতাংশ প্রদানের দাবি নিয়ে কাজ করতে ছাত্র মৈত্রীসহ শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে অন্য আলোচকদের মধ্যে ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. সুশান্ত রায় এবং ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফারুক আহমেদ রুবেল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করবেন সংগঠনের শাখা সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ পাপ্পু।

শিক্ষায় বিভক্তির ফল সামাজিক বিভক্তি: মেনন

শিক্ষার ক্ষেত্রে বিভক্তির ফলে সামাজিক বিভক্তি বেড়ে ওঠে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এমপি। তিনি বলেন, অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও একমুখী শিক্ষাব্যবস্থার স্থলে আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এখন প্রায় ১২ ভাগে বিভক্ত। শিক্ষার ক্ষেত্রে যখন এই ধরনের বিভক্তি থাকে তখন সামাজিক বিভক্তিও বেড়ে উঠে। সামাজিক ঐক্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

শিক্ষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে আয়োজিত অনলাইন আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। “৬২’র শিক্ষা আন্দোলন ও বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা’ শিরোনামে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

মেনন আরো বলেন, যে উদ্দেশ্য নিয়ে ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন হয়েছিল, স্বাধীনতার পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। তবে ড. কুদরত-ই-খোদা শিক্ষা কমিশনের আলোকে ২০১০ সালের শিক্ষানীতি অন্যতম একটি শ্রেষ্ঠ শিক্ষানীতি। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও একমুখী শিক্ষার বাস্তবায়ন তো দূরের কথা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষার অন্তর্ভুক্তি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নির্বাচন প্রদান করা, মাতৃভাষার উন্নয়ন করা, আদিবাসীদের ভাষাগুলোকে সামনে নিয়ে আসা, শিক্ষায় বাণিজ্যিকরণ বন্ধ করা ও ক্রমাগতভাবে শিক্ষাকে রাষ্ট্রীয়করণ বা জাতীয়করণ করার একটিও বাস্তবায়ন হয়নি। উল্টো যেটা হয়েছে সিলেবাসকে সাম্প্রদায়িকরণ করা হয়েছে, পাঠ্যপুস্তক ধর্মীয়করণ করা হচ্ছে এবং একমুখী শিক্ষার বদলে শিক্ষাকে আরো বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। ৬২’র শিক্ষা আন্দোলনকে এখনো প্রাসঙ্গিক দাবি করে তা বাস্তবায়নে একমুখী শিক্ষা বাস্তবায়নের দাবি জানান তিনি।

করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইন ক্লাসের ফলে নতুন এক বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে বলে উল্লেখ করে এই বৈষম্য নিরসনে সরকারের নিকট বিনামূল্যে ডিভাইস প্রদান ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানাতে শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেন সাবেক এই ছাত্রনেতা। এ ছাড়াও তিনি শিক্ষায় বাণিজ্যিকরণ বন্ধ করা, একমুখী শিক্ষার বাস্তবায়ন, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষাকে জাতীয়করণ করা ও শিক্ষাখাতে জিডিপির ছয় শতাংশ প্রদানের দাবি নিয়ে কাজ করতে ছাত্র মৈত্রীসহ শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে অন্য আলোচকদের মধ্যে ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. সুশান্ত রায় এবং ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফারুক আহমেদ রুবেল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করবেন সংগঠনের শাখা সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ পাপ্পু।