স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন যশোরের ইফতেখার সেলিম অগ্নি

iftakhar salim agni

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হলেন যশোরের ইফতেখার সেলিম অগ্নি।

অগ্নি দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রদলের সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

জানাযায়, ইফতেখার সেলিম অগ্নি মনিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের বলিয়ানপুর গ্রামের ভাষাসৈনিক প্রয়াত নুরুল হকের ছোট ছেলে। ইফতেখার সেলিম অগ্নি ১৯৮৮ সালে এসএসসি পাশ করে যশোর এমএম কলেজে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হন।
এরপর যুক্ত হন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে। তিনি ওই সময় ছাত্রদলের এমএম কলেজ শাখার প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর তিনি ১৯৯০ সালে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালে তিনি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের সাথে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
এ ছাড়াও অগ্নি ১৯৯৬ সালে জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন। ১৯৯৯ সালে তিনি জেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।পরবর্তিতে তিনি স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সদস্য নির্বাচিত হন। সর্বশেষ শনিবার তিনি কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হলেন।

উল্লেখ্য, দীর্ঘ প্রায় ৪ বছর পর ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের আংশিক কেন্দ্রীয় কমিটি (১৪৯ সদস্য) ঘোষণা করা হয়। এদিন রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে মোস্তাফিজুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলকে সাধারণ সম্পাদক করে এই কমিটি অনুমোদন দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আগামী দিনগুলোতে পর্যায়ক্রমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে।
২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর সদ্য প্রয়াত শফিউল বারী বাবুকে সভাপতি ও আবদুল কাদের ভূইয়া জুয়েলকে সাধারণ সম্পাদক করে ৭ সদস্যের আংশিক কমিটি অনুমোদন করে বিএনপি।
গত ২৮ জুলাই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় শফিউল বারী বাবু। এরপর ওই পদে সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নিয়োগ দেয়া হয়।
আংশিক কমিটির সদস্যদের নিয়ে নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ৩০ জন সহসভাপতি, ২১ জন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ২৮ জন সহ-সাধারণ সম্পাদক এবং ৫২ জনকে সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে।