মিল্কিওয়ের বাইরে প্রথম গ্রহের খোঁজ

সৌরজগতের বাইরের গ্রহগুলোকে বলা হয় এক্সোপ্ল্যানেট। এমন অসংখ্য এক্সোপ্ল্যানেট থাকতে পারে আমাদের মিল্কিওয়ে ছায়াপথে। তবে সম্পূর্ণ আলাদা একটি ছায়াপথে এই প্রথম কোনো এক্সোপ্ল্যানেটের খোঁজ দিলেন বিজ্ঞানীরা।

দুটি মহাজাগতিক বস্তু একে অপরকে প্রদক্ষিণ করলে তাদের বলা হয় বাইনারি সিস্টেম। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা হোয়ার্লপুল নামের ছায়াপথে এমন বাইনারি সিস্টেম শনাক্ত করেছেন। আর আকারে মহাজাগতিক বস্তুগুলোকে গ্রহের মতো বলে মনে করছেন তাঁরা।

১৯৯২ সালে প্রথম এক্সোপ্ল্যানেট শনাক্ত করেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। সে থেকে এমন হাজারো গ্রহের খোঁজ পাওয়া যায়। ধারণা করা হয়, আমাদের মিল্কিওয়েতে চার হাজার কোটি গ্রহ আছে। সুতরাং অন্যান্য ছায়াপথে, বিশেষ করে মিল্কিওয়ের সঙ্গে যেগুলোর সাদৃশ্য আছে, সেগুলোতেও যে গ্রহ থাকবে, তা সহজেই অনুমেয়। সমস্যা হলো সেগুলো শনাক্ত করা নিয়ে।

একটি ছায়াপথ থেকে আরেকটি এত দূরে আর সেগুলোর নক্ষত্রগুলো পৃথিবী থেকে দেখতে এমন পুঞ্জীভূত মনে হয় যে আলাদা করে তাদের শনাক্ত করা কঠিন। আর নক্ষত্রের চারপাশে কোনো গ্রহের খোঁজ পাওয়া খড়ের গাদায় সুচ পাওয়ার চেয়ে কঠিন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড-স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিকসের ওই বিজ্ঞানী দল সে বাধা পেরোতে পেরেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিজ্ঞান সাময়িকী নিউ সায়েন্টিস্ট।

গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির রোজান ডি স্টেফানো বলেছেন, পৃথিবী থেকে প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ আলোকবর্ষ দূরে হোয়ার্লপুল ছায়াপথে সম্ভাব্য গ্রহ খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা। সেটি সম্ভবত শনি গ্রহের চেয়ে খানিকটা ছোট।

এটা অত্যন্ত আনন্দের সংবাদ। তবে অপ্রত্যাশিত নয়। অন্যান্য ছায়াপথে কোনো গ্রহ নেই, এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই।
অ্যাঞ্জেল ট্যানার, জ্যোতির্বিদ, মিসিসিপি স্টেট ইউনিভার্সিটি
বিজ্ঞানীরা আশাবাদী

অতীতে কিছু বিজ্ঞানী অন্যান্য ছায়াপথে এক্সোপ্ল্যানেট থাকার চিহ্ন পেয়েছেন। তবে কেউই তা নিশ্চিত করতে পারেননি। একই কথা নতুন আবিষ্কারটির বেলায়ও প্রযোজ্য। এখনো নিশ্চিত নয়; তবে এবার বিজ্ঞানীরা আশাবাদী। যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি স্টেট ইউনিভার্সিটির জ্যোতির্বিদ অ্যাঞ্জেল ট্যানার নিউ সায়েন্টিস্টকে বলেন, এটা অত্যন্ত আনন্দের সংবাদ। তবে অপ্রত্যাশিত নয়। অন্যান্য ছায়াপথে কোনো গ্রহ নেই, এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই।