আর্মেনিয়ার রাতভর গোলাবর্ষণে ৭ আজারবাইজানি নিহত

সাময়িক যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে আজারবাইজানের দ্বিতীয় বৃহত্তর শহর গানজায় আর্মেনিয়ার গোলাবর্ষণে সাতজন নিহত ও ৩৩ জন আহত হয়েছেন।

রোববার আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, মানবিক কারণে দেয়া সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে এ হামলা চালায় ইয়েরেভেন।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক টুইট বলা হয়, গানজা শহরে স্থানীয় সময় রাত ২ টার দিকে আর্মেনিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সাতজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আরও ৩৩ জন আহত হন।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়েরে বিবৃতিতে বলা হয়, আর্মেনিয়ার বাহিনী বেসামরিক এলাকায় গোলা নিক্ষেপ করেছে।

আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অবশ্য আজারবাইজানের এ অভিযোগকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে দাবি করেছে। তাদের উল্টো অভিযোগ, আজারবাইজান কারাবাখের স্টেপানাকার্টসহ জনবহুল এলাকায় গোলাবর্ষণ করছে।

২৭ সেপ্টেম্বর থেকে বিরোধীয় অঞ্চল নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান নতুন করে যুদ্ধে জড়ায়। পরর্বতীতে শুক্রবার রাশিয়ার মধ্যাস্থতায় মস্কোতে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সঙ্গে ১০ ঘণ্টা শান্তি আলোচনা হয়। এতে দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় বলে জানিয়েছে রাশিয়া। এদিকে শনিবার স্থানীয় সময় ১২ টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।

আজারবাইজানের সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে আজারবাইজানে গোলা হামলা অব্যাহত রেখেছে আর্মেনিয়া।

এর আগে বাকুর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত আজারি সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, শনিবার টার্টার ও আগদামের বেসামরিক অঞ্চলে রকেট ও আর্টিলারি হামলা অব্যাহত রেখেছে আর্মেনিয়া।

এরই প্রতিশোধ হিসেবে পাল্টা হামলা চালায় আজারবাইজান। যদিও আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান একে অপরকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করছে।

কারাবাখ অঞ্চলটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের ভূখণ্ড। তবে ওই অঞ্চলটি জাতিগত আর্মেনীয়রা ১৯৯০’র দশক থেকে নিয়ন্ত্রণ করছে। ওই দশকে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সঙ্গে যুদ্ধে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়।

ইয়েনি শাফাক ও আজভিশিন