টেকনাফ থেকে ৭১ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার, রোহিঙ্গা আটক

টেকনাফে পৃথক অভিযান চালিয়ে ৭১ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সময় সৈয়দ আলম (২২) নামের এক রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। তিনি জামতলী রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের ৮৯৮ নং শেডের আব্দুস শুক্কুরের ছেলে।
উদ্ধার হওয়া ইয়াবার আনুমানিক বাজার মূল্য ২ কোটি ১৩ লাখ টাকা।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে অভিযান দুইটি পরিচালিত হয়েছে বলে জানান টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান।

তিনি জানান, বিজিবির নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং লম্বাবিল এলাকায় পাচারের উদ্দেশে ইয়াবাগুলো জমা করে লুকায়িত রাখা হয়েছে। এই সংবাদের ভিত্তিতে হোয়াইক্যং বিওপির বিশেষ টহলদল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে লম্বাবিল এলাকার মাছের প্রজেক্টের পাশে একটি পরিত্যক্ত বাঁশের ঘরের নিচে ছোট প্লাস্টিকের বস্তা দেখতে পায়। সেখান থেকে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৯০ লাখ টাকা।

তিনি আরো জানান, একই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে লেদা খাল বিজিবি পোস্ট হতে আনুমানিক ৪০০ মিটার দক্ষিণে লবণ মাঠের ভেতর দিয়ে দুই ব্যক্তিকে নাফ নদীর তীর হতে আসতে দেখে চ্যালেঞ্জ করে। তারা বিজিবি টহল দল দেখে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় সৈয়দ আলম নামক ব্যক্তির পিঠে লুঙ্গি দ্বারা আবৃত অবস্থায় একটি বস্তাসহ আটক করতে সক্ষম হয়। তার সঙ্গে থাকা আরেক পাচারকারী বেড়ি বাঁধের আঁড় ব্যবহার করে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে দৌঁড়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামের ভেতর দ্রুত পালিয়ে যায়।

লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান জানান, উদ্ধারকৃত মালিকবিহীন ইয়াবাগুলো বর্তমানে ব্যাটালিয়ন সদরের স্টোরে জমা রাখা হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনি কার্যক্রম গ্রহণ পরবর্তী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রতিনিধি, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে ইয়াবাসমূহ ধ্বংস করা হবে।

আটককৃত পাচারকারীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।