ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ হচ্ছে না এ বছর

করোনা মহামারি মাথায় নিয়ে কোনোমতে প্রথম রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) এবারের মৌসুমের। এরপর দীর্ঘ সাত মাসের মতো বন্ধ হয়ে আছে খেলা।

মাঝে কক্সবাজার ও বিকেএসপিতে পূনরায় খেলা শুরুর গুঞ্জন উঠলেও সেটি আর সম্ভব হয়নি করোনা পরিস্থিতির জন্য। আজ সোমবার বোর্ড পরিচালক ও আবাহনী লিমিটেডের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনও কোনো আশার কথা শোনাতে পারেননি লিগ শুরু নিয়ে।

স্থগিত হওয়া লিগ শুরু করার পরিকল্পনা করার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান পাপন সিসিডিএম এর সঙ্গে খালেদ মাহমুদকে কাজ করার দায়িত্ব দেন। তবে সোমবার গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে সুজন জানান, থেমে যাওয়া লিগ পূনরায় মাঠে গড়ানোর কোনো সম্ভাবনা নেই এই মুহূর্তে। তবে সামনের বছরে জানুয়ারিতে করা যায় কী না সেটা নিয়েও আশা দেন তিনি, ‘এ বছর তো আসলে সম্ভব না। আমরা শুরু করলে জানুয়ারিতে করতে পারি।’

তিন দলকে নিয়ে এই সময়ে চলছে ওয়ানডে টুর্নামেন্ট। ক্রিকেটারদের জৈব সুরক্ষা-বলয়ে রেখেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে টুর্নামেন্টটি।

ডিপিএল কী জৈব সুরক্ষা বলয়ে রেখে করা যেত না? এমন প্রশ্নে খালেদ মাহমুদ জানান, ‘আপনি দেখেন ওখানে ১২ টি দল। যদি প্রতিটি দলে ১৫ জন করে প্লেয়ার, কোচ, ম্যানেজমেন্ট সহ ধরি অন্তত ২০ জন। যেখানে প্রায় ২৭০ জনের মত লোককে একসাথে আবাসনের ব্যবস্থা করার মত জায়গা কোথায় আছে এটা একটা বড় প্রশ্ন আমাদের জন্য।’

ডিপিএল পূনরায় শুরু না হলেও নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে কর্পোরেট টি-টোয়েন্টি লিগ। এখানেও ডিপিএলে খেলা প্রায় সব ক্রিকেটারের সুযোগ হবে।

এনিয়ে খালেদ মাহমুদ জানান, ‘টি-টোয়েন্টি লিগটা নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে প্রতিশ্রুতি-বদ্ধ। এটা নভেম্বরে শুরু করলে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি শেষ হবে। সে পর্যন্ত তো আগে যাই আমরা তার পরে ক্লাবগুলোকে ট্রেনিং করার সুযোগের ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের খেলোয়াড়দের একত্রিত করতে হবে। সে হিসেবে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ বা ১০ তারিখের আগে মনে হয় না সম্ভব হবে।’