শনিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বৃহত্তর খাজুরার তৌহিদী জনতার উদ্যোগে খাজুরা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রতিবাদ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ফ্রান্স সরকার রাষ্ট্রীয়ভাবে পুলিশ পাহারায় রাসুল (সা.) এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন করে বিশ্ব মুসলিমের কলিজায় আঘাত হেনেছে। কারণ মুসলমানরা তাদের নবীজিকে প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসে। মুসলমানরা কিছুতেই এটা সহ্য করবে না। ফ্রান্সের সরকারকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। তাছাড়া অবিলম্বে বাংলাদেশে ফ্রান্স দূতাবাস বন্ধ করা, সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাস এবং ফ্রান্সের সকল পণ্য আমদানি বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়।অন্যাথায় আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন খাজুরা বাজার কেন্দ্রীয় জামে সমজিদের খতিব ও ঈমাম মুফতি মনিরুল ইসলাম।
মুফতি রশিদ আহম্মেদ ও মাও. আনিছুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ যশোর জেলা শাখার সাবেক সভাপতি মাও. নাজমুল হুদা, বাঘারপাড়া উপজেলা কওমী ওলামা পরিষদের সভাপতি মাও. মুহাম্মদ সালাহউদ্দীন, দর্গাহপুর ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাও. ফিরোজুল ইসলাম, খাজুরা ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ এখলাছুর রহমান, ওলামা পরিষদ নেতা সাইয়্যেদুল ইসলাম, মাও. ওবায়দুর রহমান, মাও. আব্দুল্লাহ, মুফতি আব্দুল জলিল, মুফতি মাহমুদুল হাসান, মাও. সাইফুল ইসলাম, জেলা বাস্তহারালীগ নেতা সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভোলা, খাজুরা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্পাদক জিয়াউর রহমান জয়, বাঘারপাড়া উপজেলা যুবলীগ নেতা রুবেল রানা প্রমুখ।
এর আগে দুপুরে গড়াতেই খাজুরা ও তার পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জমায়েত হতে থাকেন। বিকেল চারটা বাজতেই কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দান মুসল্লিদের পদচারণায় কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এতে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ব্যানার, ফেস্টুন ও প্লাকার্ড হাতে নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। মিছিলটি এমপি মোড়, বাসস্ট্যান্ড, যশোর-মাগুরা মহাসড়ক, তেলপাম্প, শিবের মোড় হয়ে পুরাতন পুলিশ ফাঁড়ির সামনে গিয়ে শেষ হয়।