মণিরামপুরে ত্রানের চাল চুরি মামলায় ভাইস চেয়ারম্যান বাচ্চুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

mamla rai

যশোরের মণিরামপুরে সরকারি ত্রানের ৫৪৯ বস্তা চাল চুরি মামলায় উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারী করেছে আদালত। একই সাথে তার বাড়ির মালামাল ক্রোকের আদেশ দেয়া হয়েছে। গত ১ অক্টোবর তদন্ত শেষে চাল চুরি মামলায় আদালতে বাচ্চুসহ ৬জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ৬ অক্টোবর জেলা ও দায়রা জজ এবং সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো: ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিখ এই আদেশ দিয়েছেন।

পলাতক আসামি উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক এবং হাকোবা গ্রামের মৃত সুনীল চক্রবর্তীর ছেলে।

চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন, মণিরামপুরের পাতন-জুড়ানপুর বালিকা বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস ও একই বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী জগদিশ চন্দ্র দাস, বিজয়রামপুর গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন, তাহেরপুর গ্রামের মৃত সোলায়মান মোড়লের ছেলে শহিদুল ইসলাম এবং চালসহ আটক ট্রাকের চালক খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা সাহেবপাড়ার ফরিদ হাওলাদার।
বাচ্চু ছাড়া সবাই জামিনে রয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ৪ এপ্রিল করোনা দুর্যোগের মধ্যে খুলনার মহেশ্বরপাশা গোডাউন থেকে যশোরের মনিরামপুরের উদ্দেশ্যে ৫ ট্রাক সরকারি ত্রাণের চাল আসে। যার মধ্যে থেকে এক ট্রাক চাল গোডাউনে আনলোড না দিয়েই স্থানীয় ভাই ভাই রাইস মিলে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে ৫৪৯ বস্তা চাল উদ্ধার এবং মিল মালিক ও ট্রাক ড্রাইভারকে আটক করে। এই চালের কোন বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে না পারায় এসআই তপন কুমার সিংহ বাদী হয়ে কালোবাজারির মাধ্যমে চাল মজুদের অভিযোগে আটক দুইজনসহ অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে মাণিরামপুর থানায় মামলা করেন।

তদন্তকালে আটক আসামিরা স্বীকারোক্তি জবানবন্দিতে মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চুসহ অন্যদের নাম প্রকাশ করে। আটক আসামিদের দেয়া তথ্য ও স্বাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় বাচ্চুসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

গত ১৮ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী ধার্য্য দিন ছিল ১ অক্টোবর। পরবর্তী কার্য্যক্রমের জন্য মামলাটি জেলা ও দায়রা জজ এবং সিনিয়র স্পেশাল ট্রইব্যুনাল-১ এ বদলী করা হয়। মামলার পরবর্তী কার্যক্রম হিসেবে ৬ অক্টোবর চার্জশিটের উপর শুনানী শেষে পলাতক আসামি বাচ্চুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার পাশাপাশি তার বাড়ির মালামাল ক্রোকের আদেশ দেন বিচারক।