বাংলাদেশ বা ভারত থেকে করোনা ছড়ানোর খবরকে ‘ভুয়া’ বলেছেন ঢাকার চীনা উপরাষ্ট্রদূত

coronavirus

গত বছর ডিসেম্বর মাসে চীনের উহানে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) উৎস নিয়ে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন চীনা বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, ভাইরাসটির উৎস হতে পারে ভারত বা বাংলাদেশ। আর এই দুই দেশের কোনো একটি থেকেই নভেল করোনাভাইরাস বিশ্বে ছড়িয়ে থাকতে পারে বলে তাঁদের আশঙ্কা। এনিয়ে খবর প্রকাশ করেছে বৃটিশ গণমাধ্যম দ্য সান। তবে এই ধরনের খবরকে ভুয়া বলে আখ্যায়িত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের উপরাষ্ট্রদূত ইয়ান হুয়ালং।

উপরাষ্ট্রদূত ইয়ান হুয়ালং রবিবার তার ফেইসবুক পেজে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত এমন খবরের একটি লিংক শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘ফেইক নিউজ!’ তিনি শুধু এই দু’টি শব্দই লিখেছেন। এছাড়া আর কোনো ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ উপস্থাপন করেননি ইয়ান হুয়ালং।

এদিকে, ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরকে ভুয়া বলে আখ্যা দিলেও দ্য সানের প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে কোনো কথা বলেননি ইয়ান হুয়ালং। কিংবা কোনো বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি দেশটির পক্ষ থেকে। কিন্তু মূল ব্যাপার হলো, খবরটি প্রথম এসেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম থেকে। হংকংভিত্তিক গণমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টেও এই খবর এসেছে।

সাংহাই ইনস্টিটিউট ফর বায়োলজিক্যাল সায়েন্সের গবেষকদের একটি গবেষণাপত্রের বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যভিত্তিক গণমাধ্যম দ্য সানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনা বিজ্ঞানীদের দাবি, ভাইরাসটির উৎস হতে পারে ভারত বা বাংলাদেশ। চীনের ওই গবেষকদের দাবি, উহানে প্রাদুর্ভাবের আগেও (গত বছরের ডিসেম্বরে) ভারতীয় উপমহাদেশে ভাইরাসটির অস্তিত্ব ছিল। তবে তাঁদের এই তত্ত্ব নিয়ে বিতর্ক আছে।

চীনা বিজ্ঞানীদের এমন দাবি উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম আলমগীর বলেন, ‘এটি রীতিমতো ভুয়া একটি তথ্য। এর মধ্যে বিজ্ঞানভিত্তিক কোনো উপাত্ত নেই। এটি কোনো গবেষণা বলেও ধরা যায় না। এর পেছনে হয়তো অন্য কোনো মতলব থাকতে পারে।’

ভারতীয় বিজ্ঞানীরাও সাংহাই গবেষণার ফলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। ভারতের ভাইরাসবিদ মুকেশ ঠাকুর এটিকে ‘ভুল ব্যাখ্যা’ বলে অভিহিত করেছেন।