কেশবপুরের বিজয় স্তম্ভ পুনর্নির্মাণের দাাবিতে স্মারকলিপি

যশোরের কেশবপুর শহরের প্রবেশ মুখে খোজাখালের পাড়ে নির্মিত স্বাধীনতার স্মারক বিজয় স্তম্ভটি রাতারাতি ভেঙে ফেলা হয়েছে। কে বা কারা এই এই স্তম্ভটি ভেঙে ফেলেছে তা জানা যায়নি। বিজয় স্তম্ভ ভেঙে ফেলার প্রতিবাদে কেশবপুরের একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উদ্যোগে যশোর জেলা প্রশাসকের কাছে স্মরকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

২০১০ সালে খোঁজাখালের পাড়ে নির্মিত হয় এ বিজয়স্তম্ভ। সেখানে জাতীয় দিবসে বিশেষ করে স্বাধিনতা দিবস ও বিজয় দিবসে প্রশাসন এবং কেশবপুরের সর্বসাধারণ মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করে আসছে। হটাৎ ওই বিজয় স্তম্ভটি ভেঙে সমান করে দিয়েছে। কে বা কারা এই স্বাধিনতার স্তম্ভটি ভেঙে ফেললো তা কেশবপুরের উপজেলা প্রশাসনও কিছুই জানে না বলে জানিয়েেছে। তবে ঐ স্থানের ব্রিজটি ভেঙে পুননির্মাণ করার কাজ চলায় ভেঙে ফেলা বিজয় স্তম্ভের জায়গা দিয়ে অস্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির পক্ষ থেকে যশোরের জেলা প্রশাসকের নিকট বিজয় স্তম্ভ ভেঙে ফেলার প্রতিবাদে স্মরকলিপি দেওয়া হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি হারুন অর রশিদ, কেশবপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি আইনজীবী আবু বক্কর সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, বেগমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন মন্ডল।

স্মারকলিপিতে পাঁচদফা দাবি পেশ করা হয়। দাবি গুলোর মধ্যে যারা এঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের খুঁজে বের করে আইনগত পদক্ষেপ নিতে হবে। বিজয় দিবসের আগে বিজয় স্তম্ভটি পুননির্মাণ করতে হবে। বিজয় দিবসের আগে বিজয় সুবিধাজনক জায়গায় স্তম্ভটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদনের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় মুক্তিকামি জনতাকে একত্রিত করে আন্দোলন করা হবে।

কেশবপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান বলেন, কে বা কারা বিজয় স্তম্ভ ভেঙ্গেছে তা জানা নেই। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জনানো হয়েছে। যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।