আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আওয়ামী লীগ করে নৌকার বিরোধিতা করবেন তা হবেনা। ঘরে থাকতে পারবেন না। নৌকার বিপক্ষে ভোট করলে ভোটাররা যদি বাড়ি ঘেরাও করে তাহলে আমাদের কিছু করার থাকবে না। আওয়ামী লীগ যে করে সে নৌকার বিপক্ষে ভোট দিতে পারেনা। নৌকার লড়াই হবে ধানের শীষের সাথে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন বলেই আপনারা ভালো আছেন। নৌকা হারলে শেখ হাসিনা হারবে। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগ অনেক বেশী শক্তিশালী।
রোববার (৬ ডিসেম্বর) যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসএম কামাল হোসেন বলেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ করা যাবে না। কারণ জামাত-বিএনপি থেকে জনগণ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। কারো সাথে আমাদের প্রেম নাই। প্রেম জনগণের সাথে।
এদিন বিকেলে বাঘারপাড়া মহিলা কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনী জনসভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আতিয়ার রহমান সরদার। বিশেয অতিথির বক্তব্য রাখেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন।
জনসভায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপি উপস্থিত থাকলেও নির্বাচন আচরণ বিধির কারণে তিনি বক্তব্য রাখেননি। নির্বাচনী এ জনসভায় আকস্মিকভাবে নেতৃবৃন্দের সাথে যোগ দেন বাঘারপাড়া পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও পৌর মেয়র কামরুজ্জামান বাচ্চু এবং উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক রাজিব রায়। নৌকার পক্ষে ভোটও চান তারা।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ভিক্টোরিয়া পারভিন সাথী দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিন। এই নৌকা জামাত-বিএনপির না। অনেক বিবেচনা করে এটা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে দিয়েছেন। তাই নৌকার মান কেউ ক্ষুন্ন করবেন না। ১০ তারিখের ভোটে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করে নেত্রীকে এই নৌকা উপহার দেব।
জনসভায় উপস্থিত ছিলেন খুলনা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ভিক্টোরিয়া পারভিন সাথীর বাবা মোল্যা জালাল উদ্দিন, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল মজিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম আফজাল হোসেন ও মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ, সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা সুলতান মাহমুদ বিপু, বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হোসেন বিশ্বাস, সাবেক সহ-সভাপতি আবু বক্কার শিকদার, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক নজরুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার বিপুল ফারাজী ও ইকবাল হোসেন, অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ ফরিদ জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক অলিয়ার রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের সদস্য মো. আব্দুল্লাহ রানা, বাঘারপাড়া শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদের পরিচালক আফজাল হোসেন সঞ্জিব, সাবেক যুবলীগ নেতা নজরুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও পৌর কাউন্সিলর জুলফিকার আলী জুলাই, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বায়েজিদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বিএম শাহজালাল প্রমুখ।
