রাজাকারের তালিকা প্রণয়নে আইন হচ্ছে

রাজাকার, আলবদর, আলশামসসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের তালিকা প্রণয়নের আইনি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই সুযোগ রেখে ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন’ নামে একটি নতুন আইন করা হচ্ছে।

সোমবার এই আইনের খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী অনলাইনে এই সভায় যুক্ত হন। আর অন্য সদস্যরা যোগ দেন সচিবালয় থেকে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজাকার বাহিনী ও অন্যান্য আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য হয়ে যারা মুক্তিযুদ্ধের ও দেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, তাদের তালিকা তৈরি করবে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। কাউন্সিল তালিকা তৈরি করে সরকারের কাছে তুলে দিয়ে প্রকাশের সুপারিশ করবে।

সচিব জানান, যারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিয়ে রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার বিধান থাকছে প্রস্তাবিত এই আইনে।

২০০২ সালের আইনে এই বিধান ছিল না জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘রাজাকারের তালিকা করার বিষয়টি খসড়া আইনে রাখা হয়েছে। আইনে সব বিষয়ে ডিটেইল করা নেই, এটা রুল করবে। স্বাধীনতাবিরোধী বলতে কী বোঝাবে, রুলে তা বিস্তারিত বলা থাকবে। আগে আইন হোক, এরপর বিধি করবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘অসত্য তথ্যের ভিত্তিতে গেজেটভুক্ত ও সনদপ্রাপ্ত অমুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করবে মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল।’ কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করবে জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘এটা ডিপেন্ড করবে কেমন অপরাধ করেছেন তার ওপর। শুধু সার্টিফিকেট নিয়েছে, নাকি অন্য সুবিধা নিয়েছে, নাকি দুটোই নিয়েছে। বা তার সন্তানরাও সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন কি না, আইন অনুযায়ী শাস্তির সুপারিশ করা হবে।’