শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে বেনাপোল পৌর আওয়মী লীগের আলোচনা সভা

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেছেন মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা পরিকল্পিত ভাবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। ১৯৭১ সালের এদিনে দেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিল্পী, লেখক ও সাংবাদিকসহ অন্যান্য মেধাবী ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে চোখ বেঁধে অজ্ঞাত স্থানে ধরে নিয়ে নৃশংশভাবে নির্যাতন ও হত্যা করা হয়। পাকিস্তানীরা পরাজয় নিশ্চিত জেনে তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আল বদর ও আল শামস বাহিনীর সদস্যদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ঠান্ডা মাথায় এ গণহত্যা চালায়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ যাতে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে। বেনাপোল পৌর আওয়মী লীগ কার্যালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র লিটন এ কথা বলেন।

সোমবার বিকেলে বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগ এর কার্যালয়ে পৌর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস এর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য মোজাফফার হোসেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ইলিয়াছ আযম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান, শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শেখ সরোয়ার, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক আব্দুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগ এর সদস্য মতিয়ার রহমান মধু, যশোর জেলা আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরামের কার্যনির্বাহী সদস্য জাকির হোসেন আলম, বেনাপোল পৌর আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি রহমত আলী, আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা তুহিন ইসলাম ফারাজি, শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সজল, প্রচার সম্পাদক এনামুল হক মুকুল, দপ্তর সম্পাদক আরিফুর রহমান সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বেনাপোল পৌর আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক সুকুমার দেবনাথ।