কেশবপুরে প্রশাসন দুটি ইটভাটা বুলডোজর দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে

যশোরের কেশবপুর উপজেলার দুই ইটভাটায় ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে অনুমোদন ছাড়াই ভাটা তৈরী ও ইট পোড়ানোর অভিযোগে ভাটার চিমনিসহ ভাটা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের প্রধান সড়ক সংলগ্ন সুপার ব্রিকস নামে ফারুক হোসেন ও বেগমপুর বাজার সংলগ্ন রিপন ব্রিকস নামে আবু বকর সিদ্দিক অনুমোদন ছাড়াই লোকালয় সংলগ্ন কৃষি জমির উপর ভাটা নির্মাণ করে ইট পুড়িয়ে আসছিল। এ ভাটা নির্মাণের প্রতিবাদে এলাকাবাসি দীর্ঘদিন ধরে মানববন্ধনসহ ভাটা বন্ধের দাবিতে হাইকোটে ও বেলায় অভিযোগ করেছিল। সর্বশেষ গত ৩ নভেম্বর হাইকোট থেকে সুপার ব্রিকসকে অবৈধ ঘোষনা করে। এরই প্রেক্ষিতে ২০ ডিসেম্বর রবিবার সকালে পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা থেকে পরিচালিত যশোর জেলা কার্যলয়ের সযোগিতায় ইট প্রন্তুত ভাটা নিয়ন্ত্রন আইনে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রোজিনা আক্তারের নের্তৃতে কেশবপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরুফা সুলতানা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে ভাটার আগুন নিভিয়ে বুলডোজর দিয়ে ঐ ভাটা দুইটির চিপনি গুড়িয়ে দেয়। এরপর ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ঐ ভাটা দুইটির সকল কায্যক্রম বন্ধ ঘোষনা করেন। এ সময় কেশবপুর থানা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে কেশবপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ইরুফা সুলতানা জানান, পর্যায়ক্রমে উপজেলার অনুমোদনহীন ভাটামালিকের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।