‘নো মাস্ক নো সার্ভিসে’ আরও কঠোর হওয়ার নির্দেশ

gov logo

সরকারি-বেসরকারি কোনো দপ্তরেই এখন থেকে মাস্ক ছাড়া গেলে কোনোভাবেই যাতে সেবা না পায় এ ব্যাপারে কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে এই নির্দেশনা দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে গত জুলাই মাসের শেষ দিকে বাসার বাইরে সব জায়গায় সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে সরকার। এখনো বিদ্যমান আছে সে নির্দেশনা। কিন্তু অনেকের মধ্যেই মাস্ক পরতে রয়েছে অনীহা। তাই সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের নতুন করে আবারো নির্দেশনা দিলো মন্ত্রিসভা।

সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে স্থানীয় সরকার বিভাগ গৃহীত পদক্ষেপ ও কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে এদিন মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, যেহেতু (করোনাভাইরাস) পৃথিবীতে স্প্রেড করছে, এটা আমাদের আরও একটু স্ট্রং অ্যাকশনে যেতে হবে, যাতে যথাসম্ভব সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেইনটেইন করা যায়। আর মাস্কের কথা তো বারবার আলোচনায় আসছে।’

সচিব বলেন, ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস-এটা মুখে বলছি, এটাকে প্র্যাকটিক্যালি অ্যাপ্লাই করতে হবে। যে মাস্ক না পরে আসবে সে সরকারি-বেসরকারি যে অফিসেই আসবে কোনোভাবেই যেন সেবা না পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।’

‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ এটা ব্যাপকভাবে প্রচার করার জন্য স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে, শিক্ষক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, সমাজের সচেতন ব্যক্তি সবাই এই কাজে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিতে পরিচালনা করা হচ্ছে মোবাইল কোর্ট।

স্থানীয় সরকার বিভাগকে এ বিষয়ে বড় ভূমিকা পালনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এখন একটা সুবিধা হচ্ছে, আমরা তো বুঝতে পারছি। মার্চ, এপ্রিল, মে মাসে আমাদের কোনো ধারণাই ছিল না। এখন ট্রিটমেন্ট প্রটোকল বোঝা যাচ্ছে, হ্যান্ডেলিং ম্যানেজমেন্ট বোঝা যাচ্ছে।