বাংলাদেশে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

abdul momen
ফাইল ছবি

বাংলাদেশে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

তিনি বলেন, পদ্মাসেতু আমাদের জন্য আরেকটি বড় বিজয়। সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তার কারণে নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত পথে চলতে পারলে অবশ্যই আমরা আমাদের স্বপ্ন ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলতে পারবো।

সোমবার ‘বিজয় দিবসের চেতনা ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন আয়োজিত এ আলোচনা সভায় ড. মোমেন বলেন, অনেকে বাংলাদেশকে দারিদ্র্যক্লিষ্ট, সাইক্লোনক্লিষ্ট, দুর্নীতি পরায়ন দেশ হিসেবে ব্র্যন্ডিং করেন। কিন্তু বাংলাদেশ এখন অপার সম্ভাবনার দেশ, অর্থনৈতিক উন্নয়নের রোল মডেল, দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতিতে প্রথম, নারীর ক্ষমতায়নে নক্ষত্র। আমাদের দেশে বিনিয়োগে ‘রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট’ প্রতিবেশী রাষ্ট্রের তুলনায় অনেক বেশি। সুতরাং, বিদেশিরা এখানে বিনিয়োগ করলে উভয়পক্ষ লাভবান হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আমরা সারা বিশ্বের মধ্যে ‘শান্তির জনপদ’ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। বঙ্গবন্ধু সব সময় শান্তির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন এবং বাংলাদেশের জনগণও সব সময় শান্তিপ্রিয়। বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন- বিষয়টি আমরা সারা বিশ্বে তুলে ধরতে চাই।

তিনি বলেন, আমরা জনবান্ধব, ব্যবসাবান্ধব, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। দুর্নীতি রোধে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যাপকভাবে সাহায্য করছে।

বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের ব্যাপারে নজর রাখার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশে বঙ্গবন্ধুর কয়েকজন খুনি পলাতক রয়েছেন। এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ইতোমধ্যে আমেরিকা ও কানাডায় ‘সিগনেচার ক্যাম্পেইন’ শুরু করেছে। তারা সিগনেচার সংগ্রহ করে ওই সব সরকারের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে।

ভার্চুয়াল এ সভায় সংযুক্ত ছিলেন শেখ পরিবারের প্রবীণতম সদস্য শেখ কবির হোসেন, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শহীদুল্লাহ খন্দকার, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক এবং বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম ঠান্ডু ও নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট মশিউর মালেক।