কেশবপুরে হাসানপুর বাজার পরিচালনা কমিটির নির্বাচন জমে উঠেছে

যশোরের কেশবপুর উপজেলার হাসানপুর বাজার পরিচালনা কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে ঘোষিত নির্বাচন জমে উঠেছে। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলছে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ। যা নিয়ে ঐ বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

কেশবপুরের হাসানপুর বাজার পরিচালনা কামিটি বিলুপ্ত করা হয়। বিলুপ্ত কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন, সভাপতি মঞ্জুরুল আলম পলাশ, সাধারণ সম্পাদক মশিয়ার রহমান ও কোষাধ্যক্ষ সবুজ হোসেন।

নতুন করে হাসানপুর বাজার পরিচালনা কমিটি গঠনের লক্ষে সর্বসম্মতিক্রমে গত ২৯ নভেম্বর আব্দুল আজিজ সরদারকে আহবায়ক করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। বর্তমান আহবায়ক কমিটি পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষে নির্বাচনী তফসীল ঘোষনা করেন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী তিনজন সভাপতি, ২ জন সাধারণ সম্পাদক ও ২ জন কোষাধ্যক্ষ পদে মনোনয়ন ক্রয় করেন। এর মধ্যে সভাপতি পদের একজন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে যান। অন্য দুজন সভাপতি প্রার্থী হলেন, সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আলম পলাশ ও ওজিয়ার রহমান।

এ বিষয়ে সভাপতি প্রার্থী মঞ্জুরুল আলম পলাশ বলেন, একটি পক্ষের ইন্ধনে হুট করে কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। বাজার পরিচালা কমিটির কোন আয় ব্যায়ের খাত নেই যে কারনে হিসাব দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। নতুন কমিটি গঠনের নির্বাচনে তিনি সভাপতি পদে নির্বাচন করতে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। নির্বাচনে অংশগ্রহন করে তিনি হুমকির মধ্যে রয়েছেন। প্রতিপক্ষ তাদের নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেয়ে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান অব্যাহত রেখেছে। বাজার পরিচালনার জন্য প্রকৃত ব্যবসায়ীদের নিয়ে কমিটি গঠনের দাবি জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, হাসানপুর বাজারে তার ১০ টি দোকান ভাড়া দেয়া রয়েছে এবং তিনি নিজেও সার, কীটনাশক ও বীজ ক্রয় বিক্রয়ের ব্যবসা করেন। প্রতিপক্ষ বানোয়াট অভিযোগ করে হয়রানির চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। অপর সভাপতি প্রার্থী ওজিয়ার রহমান প্রকৃত ব্যবসায়ীদের নিয়ে কমিটি গঠনের দাবি জানান।

নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল আজিজ বলেন, পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত করে আমাকে আহবায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন কমিটি ১৭ ডিসেম্বর নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করে খসড়া ও চুড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে। আগামী ১০ জানুয়ারী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যেহেতু প্রার্থীরা মনোনয়ন ক্রয় করে জমা দিয়েছেন। যাচাই বাছাইও শেষ হয়েছে। এতদিন পরে গত শুক্রবার রাতে একজন ব্যবসায়ীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। যথাসময়ে অভিযোগ না দেয়ায় এ বিষয়ে আমরা কিছু করতে পারছিনা। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।