ক্লুলেস নয়ন হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে যশোর ডিবি পুলিশ

যশোরের পোর্ট থানা বেনাপোলের এনজিও কর্মী নয়নকে হত্যার সাথে জড়িত দুজনকে গ্রেফতার ও হত্যায় ব্যবহৃত আলামত জব্দ করেছে ডিবি পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন পিপিএম বলেন, বেনাপোলের দূর্গাপুর গ্রামের জহুর আলীর স্ত্রী কামরুন্নাহার ওরফে কুটিলার সাথে নয়নের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। এর জের ধরেই স্বামী স্ত্রী তাকে হত্যা করেছে। এটি ২০২০ সালের শেষ দিনে ডিবি পুলিশের একটি বিশেষ সাফল্য।

কুটিলা ও নয়নের পরকীয়া সম্পর্কের কথা এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়। কুটিলা এ সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসতে চেয়েছিল। বাধ্য হয়ে তারা নিজের বাড়ি ছেড়ে গ্যারেজে চলে যায় স্ত্রীকে নিয়ে জহুর আলী। কিন্ত নয়ন সেখানে গিয়ে কুটিলার সাথে সম্পর্ক করে। বিষয়টি জেনে জহুর আলী স্ত্রীকে এর থেকে পরিত্রানের কথা বলে। পরে স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে আল-আমিন নয়নকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৭ ডিসেম্বর রাতে নয়নকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে বাড়ির পাশে গলায় রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ঘটনার দিনই নিহতের চাচা মুন্তাজ আলী বাদি হয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় তাদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা নং বেনাপোল পোর্ট থানা ৪০, তাং-২৮/১২/২০২০, ধারা ৩০২/৩৪ পেনাল কোড।

এই হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে কুটিলা ও তার স্বামী জহুর আলীকে গত বুধবার নিজ গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যায় ব্যবহৃত রশি, ভিকটিম ও আসামির মোবাইল ফোন এবং রশি পোড়ানোর আলামত জব্দ করা হয়েছে। তাদেরকে কোর্টে সোপর্দ করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত জহুর আলী বেনাপোল পোর্ট থানার র্দূর্গাপুর গ্রামের মৃত লোকমান মির্জার ছেলে এবং গ্রেফতারকৃত কুটিলা জহুর আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী।

পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন পিপিএম এর নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন শিকদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডিএসবি মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, যশোর নাভারন সার্কেলের সিনিয়র সহ: পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরানের তত্তাবধানে জেলা গোয়েন্দ শাখার অফিসার ইনচার্জ সোমেন দাশের নেতৃত্বে ডিবির এসআই মফিজুল ইসলাম, শামীম হোসেন, নুর ইসলামসহ ফোর্স এই ক্লুলেস নয়ন হত্যার মোটিভ উদ্ধার করে এবং আসামি আটক করে। এজন্য পুলিশের সোর্স বিশেষ ভূমিকা রেখেছে বলে পুলিশ সুপার মতামত ব্যক্ত করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দির সিকদার, এএসপি তৌহিদুল ইসলাম, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ সোমেন দাস।