নতুন বছরে স্বৈরতন্ত্রমুক্ত বাংলাদেশের প্রত্যাশা ফখরুলের

mirza fokrul
ফাইল ছবি

ইংরেজির নতুন বছরে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামী আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘নতুন বছরে করোনামুক্ত ও স্বৈরতন্ত্রমুক্ত একটি বাংলাদেশের প্রত্যাশা করছি। জনগণের বৃহত্তর ঐক্য, রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যের মাধ্যমে একটি গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারকে পরাজিত করতে হবে। এই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। ইনশাল্লাহ আমরা সফল হব বলে বিশ্বাস করি।’

শুক্রবার সকালে ছাত্রদলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে এসব কথা বলে ফখরুল।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা রাজধানীর ফার্মগেট থেকে আগারগাঁও এলাকায় ভিড় করেন। পরে তারা শেরেবাংলা নগরস্থ চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, দমন ও নিপীড়ন করে জনগণের আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই সরকারকে পতন ঘটানো হবে। একই সঙ্গে গণতন্ত্র ও বেগম জিয়াকে মুক্ত করতে সরকারকে বাধ্য করা হবে। আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছে।

এর আগে সকাল ৯টার পর থেকে জিয়াউর রহমানের মাজারে ছাত্রদল খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটসহ সাবেক ও বর্তমান ছাত্র নেতাদের নিজেদের বলয়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে জিয়ার মাজারে ঢুকতে দেখা যায়।

সকাল সাড়ে নয়টার পর থেকে চন্দ্রিমা উদ্যানে একে একে ঢুকতে থাকে নারায়নগঞ্জ মহানগর, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদল, গাজীপুর জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিট, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেনসহ হাজার হাজার নেতাকর্মী।

এ সময় তারা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে মুখরিত করে তোলেন আশপাশের এলাকা। এ সময় নেতাকর্মীরা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা সকল ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেন। তোলেন তারা।