ট্রাম্পের ৬ জানুয়ারির শেষ ভরসা ভেস্তে যেতে পারে

trump

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী জো বাইডেনকে ৬ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদান করার কথা রয়েছে। এমন সময়ই মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের দুজন সদস্য দেশটির সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জানিয়েছেন, তারা মনে করছেন আগামী ৬ জানুয়ারি প্রতিনিধি পরিষদের অন্তত ১৪০ জন রিপাবলিকান সদস্য ইলেকটোরাল কলেজ ভোট গণনার বিপক্ষে ভোট দেবেন।

সেক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শেষ ভরসা হিসেবে জয়ের সম্ভাবনা শূন্য। তবে কয়েক ঘণ্টার জন্য নতুন প্রেসিডেন্ট নিশ্চিতের প্রক্রিয়ায় দেরি করানো সম্ভব।

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগ, বিচার বিভাগ, ইলেকটোরাল কলেজসহ অঙ্গরাজ্যগুলোর গভর্নর ও নির্বাচন কর্মকর্তারা এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছেন, ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে ভোটকে প্রভাবিত করার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে নির্বাচনে কোনোভাবেই পরাজয় মানতে নারাজ ডোনাল্ড ট্রাম্প।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কংগ্রেসে ইলেকটোরাল কলেজ ভোট গণনা থামাতে হলে সিনেট ও হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস—উভয় কক্ষ থেকে একজন করে অভিযোগ দিতে হবে।

মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান সিনেটর জোস হাওলি গত বুধবার জানিয়েছেন, তিনি অভিযোগ জানাবেন। সিনেটের অন্যরাও অভিযোগ জানানোর সারিতে যোগ দিতে পারেন। বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান রিপ্রেজেন্টেটিভ সদস্য ইলেকটোরাল ভোট গণনার বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন।

তবে সিএনএন জানিয়েছে, সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিষয়ক নেতা মিচ ম্যাককনেল অবশ্য ব্যক্তিগতভাবে সবাইকে তা না করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

নেব্রাস্কা অঙ্গরাজ্যের সিনেটর বেন স্যাসে এই নীতির বিরোধিতা করে বক্তব্য দিয়েছেন। বুধবার রাতে ফেসবুক পোস্টে সিনেটর বেন স্যাসে বলেন, সার্টিফাই করার প্রক্রিয়ায় অভিযোগ জানানোর যে প্রচেষ্টা তা প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানিয়েছেন।

এনডিটিভি জানিয়েছে, হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগে অভিবাসীদের ওপর নতুন করে খড়গ চাপালেন যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বৃহস্পতিবার এক জোড়া অভিবাসন নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়িয়েছেন তিনি, যাতে ‘গ্রিন কার্ড’ প্রত্যাশী ও অস্থায়ী বিদেশি শ্রমিকরা দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেন না।

মহামারীতে বিধ্বস্ত অর্থনীতিতে মার্কিন শ্রমিকদের সুরক্ষায় এমন পদক্ষেপ দরকার বলে মনে করেন এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট।

গত এপ্রিল ও জুনে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। গত ৩১ ডিসেম্বর যার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই মেয়াদ ২০২১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প।