আতশবাজি পোড়াতে গিয়ে ফুটবলার ওমর দগ্ধ

নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে আতশবাজি পোড়ানোর রীতি বিশ্বজুড়েই প্রচলিত। কিন্তু এই আতশবাজিই আবার অনেক ক্ষয়-ক্ষতির কারণও হতে পারে।

আতশবাজি মারাত্মক পরিবেশ দূষণের কারণ হতে পারে। এর কারণে আগুন লাগা, পাখির মৃত্যু এমনকি মানুষ পর্যন্ত আহত হতে পারে। এই যেমন নরওয়ের ফুটবলার ওমর এলাবডেল্লাউই।

থার্টিফার্স্ট নাইটের ঘটনা। পুরো শহরে যখন আতশবাজি ফুটছিল, তুরস্কের গ্যালাতাসারাই ক্লাবের ডিফেন্ডার ওমর তখন ঘরেই ছিলেন। ঘরেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে উৎসবে মত্ত থাকা অবস্থায় একটি আতশবাজি তার হাতে বিস্ফোরিত হয়। আর তাতে মারাত্মক আহত হয়েছেন নরওয়ে জাতীয় দলের সহ-অধিনায়ক। খবর হুররিয়াত ও আনাদোলু এজেন্সির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আতশবাজিতে ওমরের মুখ এবং চোখের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে তার ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। অন্যান্য শারীরিক ক্ষতির কারণে বাড়তি পরীক্ষানিরীক্ষার কথাও জানানো হয়েছে।

তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো দাবি করেছে, ম্যানচেস্টার সিটির সাবেক এই খেলোয়াড় সম্ভবত দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। অবশ্য গ্যালাতাসারাই’র পক্ষ থেকে এই দাবি নাকচ করা হয়েছে। ক্লাবটি জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ওমরের অবস্থা স্থিতিশীল। তার কোনও অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়নি।

২০২০ সালে গ্রিক ক্লাব অলিম্পিয়াকোস থেকে তুরস্কে পাড়ি জমানো ওমর এলাবডেল্লাউইকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন গ্যালাতাসারাই ক্লাবের ম্যানেজার ফাতিহ তেরিম ও অধিনায়ক আর্দা তুরান। তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে বিবৃতি দিয়েছে টার্কিশ সুপার লিগে গ্যালাতাসারাইয়ের প্রতিদ্বন্দ্বী ফেনেরবাচ, বেসিকতাস এবং ট্র্যাবসনস্পর।

এদিকে থার্টিফার্স্ট নাইটে ইউরোপজুড়ে আতশবাজিতে কমপক্ষে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ‘বিবিসি’। এছাড়া আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। আর মৃত্যু হয়েছে হাজারো পাখির।