যশোরে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জমি দখলের অভিযোগ

mamla rai

যশোর সদরের বাহাদুরপুর গ্রামের বৃদ্ধ আতাউর রহমান জমি দখলদারদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বিচার চেয়ে দ্বারে-দ্বারে ঘুরছেন। অবশেষে তার ছেলে মাহাফুজুর রহমান দখলদারদের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর আবেদন করেছেন। আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে তারা ফের জমি দখলের জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। যার অনুলিপি দিয়েছেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিকট।

মাহাফুজুর রহমান অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, তার পিতা আতাউর রহমান ১৯৭৯ সালের ২৭ নভেম্বর বাহাদুরপুর মৌজায় ৪৯২ দাগের ২২ শত জমি কেনেন। দীর্ঘ ৪০ বছর যাবত তিনি এ জমি ভোগদখল করে আসছেন। ২০১৪ সালের ৯ এপ্রিল আতাউর রহমান তার ছেলে মাহাফুজুর রহমানকে জমির পূর্বপাশ থেকে ১০ শতক জমি দানপত্র করে দেন। এ জমিতে তিনি ভোগদখল করে আসছেন। এরমধ্যে বাহাদুর পুর গ্রামের মৃত আ: করিম মীরের ছেলে মীর মহর আলী, মৃত মোবারে আলী মোল্যার ছেলে ফারুক হোসেন, মৃত শামসুর মোল্যার ছেলে রবিউল ইসলাম, আঃ করিমের ছেলে মোমিনুর রহমান এবং একই গ্রামের আব্দুল করিম তার ১০ শতক জমি দখলের ষড়যন্ত্র শুরু করে। এ ব্যাপারে গত পহেলা ডিসেম্বর নির্বাহী আদালতে মামলা করা হয়। আদালতে আদেশে কোতয়ালি থানা পুলিশ শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দেয়। ১৭ ডিসেম্বর বিবাদী পক্ষ এ জমিতে ভবন নির্মানের আবেদন করে নামঞ্জুর হয়। এরপর আদালতের নির্দেশ অমান্য করে স্থানীয় এক নেতার প্রভাবে ওই জমিতে কাজ করার তোড়জোড় শুরু করেন।

গত ২০ ডিসেম্বর আদালতে আবেদন করলে পুনরায় থানা পুলিশকে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণের আদেশ দেন। এতে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে মাহাফুজুর রহমানকে ওই নেতার প্রভাবে খুন জখমের হুমকি দিয়ে উল্লেখিত জমিতে পাকা পিলার নির্মাণের কাজ শুরু করে। এসময় দুর্বৃত্ত্বরা অভিযোগকারীকে জীবন নাশের হুমকি দেয়া যে কোন সময় বড় ধরনের ক্ষতির আশংকা করছেন।

এ ঘটনায় তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ডিআইজি খুলনা, জেলা প্রশাসক যশোর, পুলিশ সুপার যশোর, কোতয়ালি মডেল থানার ওসি বরাবর এ আবেদন করেছেন।