পুলিশ হেফাজত থেকে ছাড়া পেয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা বিপু

যশোরে পুলিশ হেফাজত থেকে ছাড়া পেয়েছেন শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মাহমুদ হাসান বিপু।

মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ ও দলের শহর সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদের জিম্মায় কোতোয়ালি থানা থেকে বিপুকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহিত কুমার নাথ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর জহুরুল ইসলাম। বিপু ছাড়া পেলেও তার সাথে আটক অপর তিনজনের ব্যাপারে কেউ কিছু বলতে পারেননি।

উল্লেখ্য, সোমবার (১১ জানুয়ারি) রাতে যশোর শহরের হযতর গরীব শাহ রোডের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় একটি মেয়েলি ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ সদস্যদের সাথে বাকবিতন্ডার জেরে পুলিশ বিপুসহ চারজনকে হেফাজতে নেয়। তবে, খবরটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লেও পুলিশ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত তাদেরকে হেফাজতে নেয়ার কথা স্বীকার করেনি।

এদিকে, বিপুর সাথে নিয়ে যাওয়া অপর চারজনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের নেতারা কোনো তথ্য দিতে পারেননি। মীর জহুরুল ইসলাম বলেছেন, ‘বাকি চারজনের ব্যাপারে আমাদের কোনো কথা নেই। আমরা তাদের জন্য না, বিপুর জন্য কাজ করছিলাম। বিপুকে আমরা নিয়ে এসেছি’।

অপর দিকে বিপুর সাথে হেফাজতে নেওয়া অপর চার জনের মধ্যে শহরের চুড়িপট্টি এলাকার শাহিনুজ্জামান তপু ও শহরতলীর কিসমত নওয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে ইসলামুল হক তন্ময়কে পুলিশকে মারপিটের ঘটনায় আসামি করে মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) আদালতে চালান দেয়া হয়। হামলার শিকার পুলিশ কনসটেবল ইমরান হোসেন বাদি হয়ে মামলা করেন। অন্য দুজন শহরের কাজিপাড়া কাঠালতলার মনিরুজ্জামানের ছেলে মশিউর রহমান পিটু ও ঝিনাইদহ কালিগঞ্জ উপজেলার কমলাহাটি গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে মোহম্মদ বিল্লাল হোসেনেকে ঘটনার সাথে জড়িত না থাকায় ছেড়ে দেয়া হয় বলে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

থানা থেকে ছাড়া পেয়ে দলের জেলা কার্যালয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীদের কাছে ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বিপু বলেন, একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনার সুষ্ঠু মিমাংসা করতে গিয়েছিলেন তিনি। পরিস্থিতি যাতে খারাপের দিকে না যায় সে চেষ্টাই তিনি করেছিলেন। কিন্তু ভুল বোঝাবুঝির কারণে পুলিশ তাকে নিয়ে যায়।