কয়েক কোটি টাকা নিয়ে রাতের আধারে পালিয়ে গেছে প্রতারক

যশোর থেকে দেবু দত্ত নামে এক প্রতারক কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে রাতের আধারে পালিয়ে গেছে। মোটা অংকের টাকা লাভ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তিনি এসব টাকা হাতিয়ে নিয়ে গেছেন। বর্তমানে ওই প্রতারক বৃহত্তর ফরিদপুর অঞ্চলে বসবাস করছে বলে বিশ্বাস্ত সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, যশোর শহরের বেজপাড়া নলডাঙ্গা রোড এলাকার বাসিন্দা কার্তিক দত্তের ছেলে দেবু দত্ত শহরতলী খয়েরতলা বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী ছিলেন। ব্যবসার সূত্র ধরে ওই এলাকার ব্যাবায়ী, চাকরিজীবীদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন। এ সম্পর্কের সূত্র ধরে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে টাকা ধার নেন। কাউকে কাউকে দোকান বিক্রি করার কথা বলেও টাকা হাতান। আর এভাবে দেবু দত্ত কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। পরে রাতের আধারে দেবু দত্ত পালিয়ে গেছেন।

সূত্র জানায়, শহরতলী নূরপুর গ্রামের বাসিন্দা মকবুল হোসেনের কাছ থেকে ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেছেন। শুধু মকবুলই নয় এরকম অন্তত: ২৫ থেকে ৩০ জনের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে চলে গেছেন। বর্তমানের টাকা খুয়েই অনেকে পথে বসার উপক্রম হয়েছে। অনেকেই টাকা ফিরে পেতে আইনের আশ্রয় নিয়েছে। কেউ কেউ যশোর কোতয়ালি থানায় সাধারণ ডায়রি করেছেন। অনেকে আদালতে মামলাও করেছেন।

মকবুল হোসেন বলেন, ব্যবসা ও দোকান বিক্রির কথা বলে তার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় ১১লাখ টাকা নিয়েছে। টাকা চাইলে দিচ্ছি, দেব এভাবে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে রাতের আধারে পালিয়ে গেছে।

মকবুল হোসেন আরো বলেন, দুই কিস্তিতে ১১ লাখ টাকা নিয়েছে। তার কাছে যে দোকান বিক্রি করেছিল, সে দোকান অন্য একজনের কাছে বিক্রি করে নাম পত্তন পর্যন্ত করে দিয়েছে। এরপর শহরের বেজপাড়া নলডাঙ্গা রোডের বাড়ি বিক্রি করে টাকা দেবে বলে টালবাহানা করে। আমাকে রাস্তার ফকির বানিয়ে চলে গেছে। পালিয়ে যাওয়ার পর তার ফোন বন্ধ রাখে। কিন্তু এখন তার ফোন খোলা আছে। ফোন করে টাকা চাইলে নানা রকম টালবাহানা করছে। হিন্দু মানুষ বলে আইনের জোরালো পদক্ষেপও নিতে পারছি না। তিনি টাকা ফেরত পাবার আশায় যশোর কোতয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়রি ও আদালতে মামলা করেছেন।