যশোর পৌরসভা শ্রমিক ইউনিয়নের মিছিল-সমাবেশ

jessore map

বর্জ্য সংগ্রহকারী ভ্যানচালকদের (বাঁশিওয়ালা) কাজে এনজিওর অপতৎপরতা বন্ধ, পরিচ্ছন্নতা শ্রমিকদের প্রবিধানানুযায়ি মজুরি প্রদান, ছাঁটাই বন্ধ ও অহরিজনদের পরিচ্ছন্নতা কাজে চাকরি না দেওয়াসহ শ্রম আইন বাস্তবায়নে শহরে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর পৌরসভা শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিলটি লাল দিঘীর হরিসভা মন্দিরের সামনে থেকে শহরের গুরুত্বপূর্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে যশোর প্রেসক্লাবের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, যশোর পৌরসভা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মতি লাল, সাধারণ সম্পাদক কমল বিশ্বাস, সহ সাধারণ সম্পাদক হিরন লাল, বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদের জেলা সভাপতি রাজেন বিশ্বাস প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কতৃক ঘোষিত জেলা শহরে ৫০০ টাকা মজুরি নির্ধারণ করা হলেও যশোর পৌরসভা মেয়র মহোদয়কে বারবার বলার পরও মজুরি বৃদ্ধি বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। উপরোক্ত বাসা বাড়ীতে বর্জ্য ব্যবস্থপনা হরিজন সম্প্রদায় নিজস্ব উদ্যোগে নামমাত্র বকশিষ নিয়ে শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে কাজ করছিলেন, সেখানে এনজিওদের নিয়োগ দিয়ে পৌরসভা দায়ভার এড়িয়ে যেতে চায়, যার ফলে হরিজন জনগোষ্ঠির বেকারের পাল্লা ভারি হবে। এছাড়াও পৌরসভার জন্মলগ্ন থেকে কাজ করে আসলেও আমাদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র, সার্ভিসবুক নেই।

আমাদের বেঁচে থাকার নায্য দাবীর প্রেক্ষিতে গত ১৬ ডিসেম্বর ২০২০ হতে আন্দোলন শুরু হলে প্যানেল মেয়র, অন্যান্য প্রতিনিধিসহ পৌরসভা শ্রমিক ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করে ঘোষনা দেন যে, এনজিওদের সাথে চুক্তি বাতিল করা হবে এবং পৌর মেয়রের সাথে আপনাদের বৈঠকের মধ্যে দিয়ে মজুরি বৃদ্ধি সহ অন্যান্য দাবী পুরণ করা হবে। কিন্তু কোন প্রতিশ্রুতি পুরণ না করে এনজিওদের তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

যশোর পৌরসভার এসকল তৎপরতা ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। চলমান কর্ম বিরতি কর্মসূচির জন্য যশোরবাসীর সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। সেই সাথে চলমান আন্দোলনে যশোরবাসীকে সার্বিক সহযোগিতা করার উদাত্ত আহবান জানানো হয়। নেতৃবৃন্দ অনতিবিলম্বে বেঠকের মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধানের আহবান জানান।