যশোর গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগে ননদ ও দেবরের বিরুদ্ধে মামলা

mamla rai

যশোরে নাসরিন আক্তার (১৮) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতনের পর ঘরে আটকে রাখার অভিযোগে কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।

মামলায় আসামী করেছে, নির্যাতিত গৃহবধূর ননদদ যশোর সদর উপজেলার ঘুনি গ্রামের জাফর ব্যাপারীর মেয়ে আসমা খাতুন, রেক্সোনা ও দেবন ফারুক ব্যাপারী।

সদর উপজেলার ঘুনি গ্রামের মৃত নুর ইসলাম ব্যাপারীর মেয়ে নাসরিন আক্তার শুক্রবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে কোতয়ালি থানায় উক্ত আসামীদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।

মামলায় তিনি বলেছেন, গত ৮ মে ২০১৮ সালে তার পিতা নুর ইসলাম ব্যাপারী মারা যাওয়ার পর জাফর ব্যাপারীর মেয়ে ও ছেলেরা নাসরিন আক্তারের বুদ্ধি প্রতিবন্দীর মাতার অসহায়ত্বের সুযোগে ওই বছরে অর্থাৎ ২০১৮ সালের ২৮ মে জাফর ব্যাপারীর ছেলে ফিরোজ ব্যাপারীর সাথে আসমা খাতুনের বিয়ে দেয়। বিয়ের পরের দিন ফিরোজ ব্যাপারী স্ত্রী নাসরিন আক্তারকে আসামীদের কাছে রেখে দুবাই চলে যায়। এরপর নাসরিন আক্তারকে দিয়ে ঘরের ঝিঁয়ের কাজ করানোসহ নির্যাতন করতে থাকে। নাসরিন আক্তারকে খেতে না দেওয়ায় নাসরিন আক্তার রাজহাসের কুড়ো মেশানো ভাত খেয়ে জীবন ধারণ করেন। পর্যায়ক্রমে নির্যাতন ও মুখে ক্রীমের সাথে কেমিক্যাল মিশিয়ে মুখ পুড়ে দেয়। হাতে ও মুকে ব্লেড দিয়ে নানা ভাবে নির্যাতন করে। পরে তাকে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে। গত ১৬ জানুয়ারী নাসরিণ আক্তার টয়লেটে যাওয়ার কথা বলে পালিয়ে এলাকাবাসীর কাছে আশ্রয় নিয়ে বিষয়টি ফাঁস করে দেয়। এলাকাবাসী নির্যাতিত ও আহত গৃহবধূকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।