মিয়ানমার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

abdul momen
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ মিয়ানমারের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেত্রী অং সান সু চি ও দেশটির রাষ্ট্রপতি ওয়েন্ট মিন্টকে আটকের বিষয়ে প্রেস নোটের মাধ্যমে পরবর্তীতে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

সোমবার অং সান সু চিকে দেশটির সেনাবাহিনী আটক করার পর গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে ভোরে সেনাবাহিনীর অভিযানে সু চি এবং ওয়েন্ট মিন্টসহ এনএলডির বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে আটক করা হয়েছে। সৈন্যরা দেশের বিভিন্ন প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বাসায় গিয়ে তাদের ধরে নিয়ে যায় বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।

মিয়ানমারের রাজধানী নাইপিডো ও প্রধান শহর ইয়ানগনের রাস্তায় সেনা সদস্যদের টহল দিতে দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি তাদেরকে আটকের পর দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

এদিকে সোমবার নব-নির্বাচিত সংসদের প্রথম বৈঠক হবার কথা, কিন্তু সেনাবাহিনী অধিবেশন স্থগিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়।

যদিও গত সপ্তাহে সামরিক বাহিনী সংবিধান মেনে চলার অঙ্গীকারের কথা জানিয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সামরিক সামরিক অভ্যুত্থান করেছে তারা। সংবিধান অনুযায়ী সামরিক বাহিনী উল্লেখযোগ্য ক্ষমতা রয়েছে, যার মাধ্যমে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারে তারা।

গত ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে এনএলডি পার্টি ৮৩% আসন পায় যাকে সু চির বেসামরিক সরকারের প্রতি সর্বসাধারণের অনুমোদন হিসেবেই দেখা হচ্ছে। ২০১১ সালে সামরিক শাসন শেষ হওয়ার পর এটি দ্বিতীয়বার নির্বাচন ছিল মাত্র।

তবে সামরিক বাহিনী নির্বাচনের ফলকে বাধাগ্রস্ত করেছে। তারা সুপ্রিম কোর্টে দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং ইলেক্টোরাল কমিশনের প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে।