ধারণা ছিল আ.লীগ জিয়াকে মরণোত্তর সংবর্ধনা দেবে: গয়েশ্বর

goyeshwar chandra roy

আলজাজিরায় প্রকাশিত সংবাদে সরকারের পেট খারাপ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

শুক্রবার দুপুরে এক মানববন্ধনে তিনি বলেন, আলজাজিরার ঘটনা নিয়ে এতটা পেট খারাপ হওয়ার কথা তো না আপনাদের। কারণ আপনাদের হজম শক্তি কম না। অনেক কিছু হজম করেছেন। এটি তো হজম করতে পারবেন। এটি তো লাখো ঘটনার একটি ঘটনামাত্র।

তিনি বলেন, এটিতে মাথা খারাপ হওয়ার এত কি হলো? আমি বলব– এসব গলাবাজি, চাপাবাজি ছেড়ে সঠিকভাবে আপনারা মোকাবিলা করেন। প্রমাণ করে দেন যে, আলজাজিরা যা বলছে এটি ঠিক না— সত্য না, মিথ্যা। এই কাজটুকু করতে এত কষ্ট কেন?

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এনডিপি) উদ্যোগে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের প্রতিবাদে এই মানববন্ধন হয়।

সংগঠনের চেয়ারম্যান কেএম আবু তাহেরের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান শওকত আমীন প্রমুখ নেতারা বক্তব্য রাখেন।

স্বাধীনতাযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকার কথা তুলে ধরে গয়েশ্বর বলেন, তিনি বীর উত্তম, সেই বীর উত্তমকে বলব সবচেয়ে উত্তম জিয়াউর রহমান। সবচেয়ে বেশি শহীদ হয়েছে তার ‘জেড’ ফোর্স থেকে, সবচেয়ে বেশি পাকিস্তানি সেনা পরাস্ত হয়েছে তার ফোর্স থেকে, সবচেয়ে বেশি খেতাব পেয়েছেন জেড ফোর্সে যারা ছিলেন তারা।

তিনি বলেন, আমার ধারণা ছিল– সুবর্ণজয়ন্তীতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জিয়াউর রহমানকে মরণোত্তর সংবর্ধনা দেবে, যে কাজ তাদের করার কথা ছিল—তা তারা করেনি।

জিয়াউর রহমান সংবিধান লঙ্ঘন করেননি বলেও মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, জিয়াউর রহমান সংবিধানের মৌলিক অধিকারগুলো আপহোল্ড করেছেন। অর্থাৎ গণতন্ত্র তিনি পরিপূর্ণতা এনেছেন, সবস্তরে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া তিনি চালু করেছেন এবং সংবাদপত্র প্রকাশ করার অবাধ সুযোগ করে দিয়েছেন। সব মাপকাঠিতে মুক্তিযুদ্ধের যে মূল লক্ষ্য ছিল– গণতন্ত্র সেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সঙ্গে জিয়াউর রহমান সবসময় থেকেছেন, সাহসের সঙ্গে থেকেছেন।

সরকারকে গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এটি রাজতন্ত্রের দেশ না। রাজায় রাজায় যুদ্ধ করে পরাজিত হলে আরেক রাজা আসে। প্রজারা প্রজার জায়গায় থাকে। এটি জনগণের দেশ। জনগণের দেশটি জনগণের মতো চলতে দেন, জনগণের দেশটা জনগণের কাছে ছেড়ে দেন।

‘এখনও সময় আছে— চাটুকারদের কাছ থেকে দূরে থাকেন। দেশের জনগণের চোখের দিকে তাকান, চোখের ভাষা বোঝার চেষ্টা করুন, তাদের মনের কথা বুঝেন। সেভাবে গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসুন।

গয়েশ্বর বলেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করে আপনার ১৩ বছরের কর্মফল জনগণকে যাচাই করার সুযোগ দিন।