পুরো দেশেই শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে: ইসি সচিব

চতুর্থ ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে সহিংসতায় একজন নিহত ও ৭টি ভোটকেন্দ্র বন্ধের বিষয়টি স্বীকার করে নির্বাচন কমিশন সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেছেন, ৫৫টি পৌরসভার ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হয়। পুরো দেশেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোট নিয়ে আমরা এখন পর্যন্ত সন্তুষ্ট।

রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

ইসি সচিব বলেন, নরসিংদীর চারটি ভোটকেন্দ্রে কিছু অনিয়মের কারণে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সেখানে ভোট বন্ধ করে দেন। নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে একটি কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করে দেয়া হয়। শরীয়তপুরের ডামুঢ্যায় দুটি কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করা হয়। অর্থাৎ সাতটি কেন্দ্রের ভোট বন্ধ হয়। বাকি ৫০৩টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তিনি বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তারা নির্বাচন কমিশনকে প্রতি ঘণ্টায় যে প্রতিবেদন দিয়েছেন এবং গণমাধ্যমে যা দেখেছে কমিশন, তাতে আমাদের কাছে মনে হয়েছে, ভোট ভালো হয়েছে।

চট্টগ্রামের পটিয়ায় দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে গোলাগুলিতে একজন নিহত হয়। এ বিষয়ে হুমায়ুন কবীর বলেন, ঠিকই বলেছেন। পটিয়াতে ভোটকেন্দ্রের বাইরে প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে একজন মারা গেছেন। এটা নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য দুঃখজনক। এ ধরনের ঘটনা আমরা কেউ প্রত্যাশা করি না। প্রার্থীদের মধ্যে যে মারামারি হয়েছে সেটা ভোটকেন্দ্রের বাইরে হয়েছে। এটি কেন্দ্রের ভেতরে ভোটগ্রহণে কোনো ধরনের প্রভাব ফেলেনি। ভোটগ্রহণ হয়েছে শান্তিপূর্ণভাবে।

এ ঘটনার দায় কার? এর জবাবে সচিব বলেন, যে খুন হয়েছে, যে দুই প্রার্থী মারামারি করেছে, এর দায় তাদের। কারণ, তারা নিজেরা মারামারি করে খুন হয়েছে। কিন্তু ভোটাররা যারা কেন্দ্রে এসেছেন, ল এনফোর্সিং এজেন্সি যারা ছিলেন, আমাদের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা যারা ছিলেন, তারা প্রত্যেকে রিপোর্ট দিয়েছেন যে, ভোট নেয়ার মতো পরিস্থিতি ছিল, সুষ্ঠু ছিল।

তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যাশা ছিল একটি প্রাণও যেন না ঝড়ে। প্রার্থীরা এত বেশি ইমোশনাল হয়ে যায়…। ওই ভোট কেন্দ্রে আমাদের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ছিল। কেন্দ্রের বাইরে দুই প্রার্থীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এতে একজন নিহত হন। ওই মুহূর্তে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওই জায়গায় গিয়ে ইন্টারভেন্ট করার সুযোগ ছিল না, এটি আমাদের কাছে মনে হয়েছে।