করোনার ভারতীয় ধরন আরও বেশি সংক্রামক ও বিপজ্জনক হতে পারে

coronavirus

ভারতের করোনাভাইরাসের হার্ড ইউমিনিটি কাল্পনিক গল্প হয়েই থাকবে। দেশটির পুরো জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দিতে আশি শতাংশ লোকের এন্টিবডি থাকতে হবে।

শনিবার অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এআইআইএমএস)-এর প্রধান ডা. রন্দ্বীপ গৌলরিয়া এনডিটিভিকে এমন কথা বলেছেন।

কোনো জনগোষ্ঠীর সংখ্যাগরিষ্ঠ যখন একটি সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী হয়, সেই অবস্থা বোঝাতে ‘হার্ড ইমিউনিটি’ পরিভাষা ব্যবহার হয়। সংক্রমণ থেকে সুস্থ হওয়া ও টিকাদানের মাধ্যমে হার্ড ইমিউনিটিতে পৌঁছানো যায়।

তিনি বলেন, মহারাষ্ট্রে করোনার যে ভারতীয় নতুন ধরন পাওয়া গেছে, তা আমলে নিয়ে এ কথা বলা যায় যে—হার্ড ইমিউনিটি খুবই কঠিন হবে। কারণ করোনার এই ধরন উচ্চমাত্রার সংক্রামক ও বিপজ্জনক হতে পারে।

এমনকি ভাইরাসের এন্টিবডির বিকাশ ঘটলেও নতুন এই ধরনে মানুষের শরীরে পুনঃসংক্রমণ ঘটাতে পারে বলে জানান মহারাষ্ট্রের কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্য ডা. শশাঙ্ক জোশি।

মহারাষ্ট্র ছাড়াও কেরালা, মধ্যপ্রদেশ, ছত্রিশগড় ও পাঞ্জাবেও সংক্রমণ বেড়েছে।

হার্ড ইউমিনিটি অর্জনযোগ্য নয় উল্লেখ করে ডা. রন্দ্বীপ গৌলরিয়া বলেন, ভাইরাসের রূপান্তর কিংবা ধরন হচ্ছে ‘ভাইরাসের প্রতিরোধ ক্ষমতা এড়ানোর কৌশল’। টিকার মাধ্যমে প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করা ব্যক্তির জন্যও এগুলো হুমকি হয়ে উঠতে পারে এবং পুনঃসংক্রমণ ঘটাতে পারে।

সেক্ষেত্রে করোনা-উপযুক্ত আচার-আচরণ মেনে চলা অপরিহার্য বলে তিনি মন্তব্য করেন। বললেন, পরীক্ষা, সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ ও আক্রান্তদের আইসোলেশনের মতো পদক্ষেপগুলো আগ্রাসীভাবে নিতে হবে ভারতকে।

করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের বিরুদ্ধে ভারতের টিকাগুলো কার্যকর হবে কিনা প্রসঙ্গে গৌলরিয়া বলেন, টিকাগুলো কার্যকর হবে, তবে কার্যকারিতা কিছুটা কম হতে পারে।

উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেছেন, টিকা নিয়েছেন এমন লোকজন হয়তো রোগটিতে আক্রান্ত হওয়া এড়াতে পারবে না কিন্তু তাদের সংক্রমণ মৃদু হবে।

ভাইরাসের নতুন এই ধরনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে টিকাগুলো আরও উন্নত করতে হবে কিনা, নিয়মিত নজরদারী থেকে পাওয়া তথ্য তা জানার প্রধান উপায়। আসছে মাসগুলোতে ‍টিকা তৈরির ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

পরিস্থিতি যাই হোক টিকা অবশ্যই নিতে হবে বলে জানিয়েছেন এই চিকিৎসক।