খাসোগি হত্যা: মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদন নিয়ে যা বলল সৌদি

সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যা পরিকল্পনায় যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে অভিযুক্ত করে প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যানের কথা জানিয়েছে সৌদি আরব।

শুক্রবার মার্কিন মিত্র দেশটি জানায়, সৌদি নেতৃবৃন্দকে জড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রতিবেদনে যে মূল্যায়ন দাঁড় করানো হয়েছে, তা নেতিবাচক, ভুয়া ও অগ্রহণযোগ্য। এতে ভুল তথ্য ও সিদ্ধান্ত টানা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খাসোগি হত্যায় সৌদি আরবের সিংহাসনের উত্তরাধিকারী যুবরাজ মোহাম্মদ অনুমোদন দিয়েছিলেন।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি ও বিবিসি এমন খবর দিয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে, সৌদি সরকারের কঠোর সমালোচক জামাল খাসোগিকে ধরে আনতে কিংবা হত্যা পরিকল্পনায় যুবরাজের সায় ছিল।

তিনটি কারণে যুবরাজের সবুজ সংকেত ছিল বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

প্রথমত, ২০১৭ সাল থেকে সৌদির নীতি নির্ধারণের নিয়ন্ত্রণ তার হাতে। দ্বিতীয়ত, তার একজন উপদেষ্টা ও সুরক্ষা বাহিনীর সদস্য এই হত্যায় সরাসরি জড়িত। তৃতীয়ত, দেশের বাইরে ভিন্নমতাবলম্বীদের দমন করতে সহিংস পদক্ষেপে তার অব্যাহত সমর্থন।

যুবরাজের সুরক্ষায় কাজ করে অভিজাত বাহিনী র‌্যাপিড ইন্টারভেনশন ফোর্স। তাদের জবাবদিহিও একমাত্র যুবরাজের কাছে।

এর আগে সিআইএ ধারণা করেছিল, সৌদি যুবরাজের নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। কিন্তু তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন কখনোই তার জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেনি।

২০১৮ সালের ২ অক্টোবর ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে নির্মমভাবে হত্যা করে সৌদি গুপ্তচরেরা। পরে তার লাশ কেটে টুকরো টুকরো করে দেওয়া হয়েছে।

পশ্চিমা বিশ্বে এমবিএস নামে পরিচিত যুবরাজ শুরু থেকেই হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।