সবাইকে এক ব্যানারে আন্দোলনে আসার আহ্বান নুরের

nurul haque nur
ফাইল ছবি

সব রাজনৈতিক দলকে এক ব্যানারে আন্দোলনে নামার আহবান জানিয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। শুক্রবার বিকালে জাতীয় যাদুঘরের সামনে বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ আহবান জানান।

নুর বলেন, আমি রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানাবো আর ভিন্ন ভিন্ন ব্যানারে নয়। এক ব্যানারে আসুন, বাংলাদেশকে রক্ষা করুন। এখন থেকে স্লোগান হবে একটাই- বাঁশের লাঠি তৈরি করো। বাংলাদেশ রক্ষা করো।

শ্রমিক নেতা নুরুল আমিনসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তারকৃত সকলের নিঃশর্ত মুক্তি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে নুর বলেন, বাংলাদেশের জনগণকে বলবো যখন দেশে বালা-মুছিবত আসবে কেউ কিন্তু রেহাই পাবেন না। সময় থাকতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আপনারা পত্রিকায় দেখেছেন কার্টুনিস্ট কিশোরকে কিভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। কেন তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো? কারণ তিনি একটি কার্টুন একেঁছিলেন। কার কার্টুন একেঁছিলেন? ব্যাংক লুটেরা পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান নাফিজ সারাফাতের। জাতিসংঘসহ উন্নয়ন সহযোগী ১৩টি রাষ্ট্র, বিভিন্ন মানবধিকার সংগঠন নির্যাতন নিপীড়ন নিয়ে কিন্তু সরব হচ্ছে। এখন জনগণকে জাগতে হবে। প্রশাসন তখনই পাশে দাঁড়াবে যখন দেখবে জনতার ঢল নেমেছে।

বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আরো বলেন, বিনাভোটের সরকার বাংলাদেশকে ইরাক, সিরিয়া, মিয়ানমার বানাতে চায়। এই বিনা ভোটের সরকারের কাছে কী আমরা ১৮কোটি লোক জিম্মি থাকবো? আপনাদের সংগ্রাম করতে হবে। এই সংগ্রামে আমি মরি না আপনি মরেন সেটা উপর ওয়ালাই ঠিক করবে। আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করছি এদেশের ১৮কোটি মানুষের জন্য। মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছরে স্বাধীনতার চেতনাকে ভুলুণ্ঠিত হতে দিতে পারি না। আমরা ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছি ২৬শে মার্চের মধ্যে কালো আইন বাতিল না হলে সংসদ ঘেরাও হবে। বাতিল না হলে আমাদের কর্মসূচি হবে- এক দফা এক দাবি, হাসিনা তুই কবে যাবি।

নুর দাবি জানিয়ে বলেন, আপনারা দেখেছেন, মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদ করায় বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিভিন্ন স্থানে নির্যাতন নিপীড়ন চালিয়েছে। শ্রমিক নেতা রুহুল আমিনকে একটি পোস্ট দেবার কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা অবিলম্বে সবার মুক্তি চাই এবং ২৬শে মার্চের মধ্যে কালো আইন বাতিল করতে হবে। আর যদি বাতিল না হয় তাহলে বলছি, এই লড়াই আমাদের নয় এই লড়াই ১৮ কোটি মানুষের লড়াই। এই লড়াইয়ে সবাই ভিতরে ভিতরে প্রস্তুতি নিন। পাড়া থেকে মহল্লায় জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করুন। এই মাফিয়াদের হটাতে জনগণের ঐক্যবদ্ধ হবার কোন বিকল্প নাই।

সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন, যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হানিফ, শাকিলুজ্জামান, সোহরাব হোসেন, শ্রমিক অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক আবদুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরান হোসেন, সদস্য সচিব আরিফ হোসেন প্রমুখ।