৭ মার্চের ভাষণ উজ্জীবনী শক্তি হিসেবে কাজ করেছিল : রণজিৎ রায় এমপি

যশোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রনজিৎ কুমার রায় বলেছেন, ‘৭ মার্চের ভাষণ উজ্জীবনী শক্তি হিসেবে কাজ করেছিল। এই ভাষণের মধ্যদিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু জানতেন এই ভাষণের পর তিনি গ্রেফতার হবেন। এটা বুঝেই নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এ জন্য আমরা গর্বিত।কারণ আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করি।’

দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।পুনরায় যাতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। সামনে ইউপি নির্বাচন। তাই দু:সময়ে যারা আওয়ামীলীগ করেছে তাদেরকে মূল্যায়ন করতে হবে।’

রোববার (৭ মার্চ) যশোরের বাঘারপাড়ায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন উপলক্ষে পৃথক তিনটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন সংসদ সদস্য রনজিৎ কুমার রায়।

দিনটি পালনের লক্ষ্যে উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও থানা পুলিশ বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করে। এছাড়া দিনটি পালন করে বিভিন্ন সংগঠন।

এদিন সকাল সোয়া ১০টায় উপজেলা পরিষদের অভ্যন্তরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করে উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

এর আগে প্রশাসনিক দপ্তর ও আওয়ামী লীগের সব দলীয় কার্যালয়সমূহে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা চত্বরে এ উপলক্ষে দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য রনজিৎ কুমার রায়। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ভিক্তোরিয়া পারভীন সাথী।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিয়া আফরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান আলী, উপজলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মোল্যা ও বিথীকা বিশ্বাস, পৌর মেয়র কামরুজ্জামান বাচ্চু, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব সন্তোষ অধিকারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালেক মাস্টার, বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার শহিদুল্লাহ প্রমুখ।

আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মামুন আল আজাদ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভা শেষে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ছাত্র -ছাত্রীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রনজিৎ কুমার রায় এমপি।

একই দিন দুপুর সাড়ে ১২ টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান আলী। প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য রনজিৎ কুমাার রায়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ আজগর আলী,উপজেরা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মোল্যা, পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও পৌর মেয়র কামরুজ্জামান বাচ্চু, আওয়ামী লীগ নেতা শচীন্দ্র নাথ বিশ্বাস, মুন্সি বাহার উদ্দিন, ইউপি চেয়ারম্যান সুভাষ দেবনাথ অভিরাম, মঞ্জুর রশিদ স্বপন ও আয়ুব হোসেন বাবলু, আওয়ায়ামী লীগ নেতা বাবলু সাহা, নিখিল আঢ্য, গোলাম ছরোয়ার, আমিনুর সরদার, নূর জালাল খান, জালাল উদ্দিন, যুবলীগ নেতা রুবেল রানা, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল হুসাইন নানু, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা রজিবুল ইসলাম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক কামরুজ্জামান লিটন।

এদিকে, বিকেল ৪টায় থানা পুলিশের আয়োজনে ৭ মার্চ পালন উপলক্ষে বেলুন উড়িয়ে ও কেক কেটে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করা হয়। এরপর দেখানো হয় বঙ্গবন্ধুর প্রামাণ্য চিত্র। দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য রনজিৎ কুমার রায়। থানা চত্বরে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ভিক্টোরিয়া পারভীন সাথী, ইউএনও তানিয়া আফরোজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান আলী, পৌর মেয়র কামরুজ্জামান বাচ্চু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মোল্যা ও বিথীকা বিশ্বাস, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেব অতিরিক্ত সচিব সন্তোষ অধিকারী।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এসআই আউয়াল হোসেন।